অনলাইন ডেস্ক:
মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলায় পূর্ব বিরোধের জেরে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে দুই পক্ষের মারামারির সময় সোহরাব খান (৫৫) নামে সাবেক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন নিহতের ছেলে জনি খান (৪২)।
সোমবার (৮ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে দীঘিরপাড় বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সোহরাব দিঘীরপাড় ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও স্থানীয় খান বাড়ির বাসিন্দা।
এদিকে, এ ঘটনায় এর সাথে দিঘীরপাড় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শাহ আলমের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তোলে তদন্ত কেন্দ্র ঘিরে রেখে হামলা ও ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। পুরো এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশও।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, নিহত সোহরাব খানের সাথে ওই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য ভোলা হালদার ওরফে ভোলা মেম্বারের আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। এ ঘটনায় সোমবার দিঘীরপাড় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে আসে দুই পক্ষ। এসময় বিরোধে জড়িয়ে পড়ে তারা। একপর্যায়ে ভোলা ও তার দুই ছেলে রিজভী ও রিহানসহ ৭-৮ জন সোহরাব ও জনিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। পরে তাদের উদ্ধার করে টংগিবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক সোহরাবকে মৃত ঘোষণা করেন। জনির অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, বিরোধের জেরে পরিকল্পিতভাবে সোহরাবকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এঘটনায় ফাঁড়ির ইনচার্জ শাহ আলমের জড়িত থাকারও অভিযোগ করেন তারা।
টংগিবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, নিহত সোহরাব খানের মাথায় ও বুকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া আহত জনি খানের মাথায়,বুকে ও পেটে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ ঘটনায় এলাকায় অতিরিক্ত সুপার সুমন দেব বলেন, এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের কোন সদস্যের সংশ্লিষ্টতা থাকার বিষয়টিতে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্যে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।