অনলাইন ডেস্ক :
পল্টন থানায় করা মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিন চেয়ে এবার হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে।
আজ সোমবার (২ জানুয়ারি) তাদের পক্ষে আইনজীবী সগীর হোসেন লিওন এ আবেদন করেন। আগামীকাল মঙ্গলবার বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চে তাদের এ আবেদনের শুনানি হবে। বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ২১ ডিসেম্বর এ দুই নেতার জামিন আবেদন চতুর্থবারের মতো নাকচ করে আদেশ দেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামান। তার আগে গত ১৫ ডিসেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন শুনানি শেষে আসামিদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। এ ছাড়া, ১২ ডিসেম্বর ঢাকার আরেকটি আদালত একই মামলায় মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন খারিজ করে দেন।
গত ৭ ডিসেম্বর বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এ ছাড়া আহত হন অনেকে। এ সময় বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে চাল-ডাল, পানি, নগদ টাকা ও বিস্ফোরক দ্রব্য পাওয়া যায় বলে দাবি করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ডিসেম্বরে মতিঝিল, পল্টন ও শাহজাহানপুর থানায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় প্রায় দুই হাজার বিএনপি নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা করা হয়।
৮ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ৩টার দিকে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে তাদের বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। এরপর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন ৯ ডিসেম্বর পুলিশ তাদের আদালতে হাজির করে। এ সময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত গ্রেপ্তার বিএনপি নেতাদের কারাগারে রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সেই থেকে তারা কারাগারে রয়েছেন।