কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া প্রতিনিধি :
গত এক মাসের ২১ ফেব্রয়ারি সন্ধার ৭ সময় জহির নামে এক বাংলাদেশী যুব। মাস্ক সঠিকভাবে না পরায় স্থানীয় পুলিশ তাকে আটক করে।
এ সময় একজন পুলিশ সদস্যকে ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করার অপরাধে অভিযোগ করারা হয়। আজ আদালতে দোষী সাব্যস্ত করার পরে বৃহস্পতিবার সেশনস কোর্ট কর্তৃক ঐই যুবক বাংলাদেশিকে দুই মাসের জেল ও আরএম ১০,০০০ জরিমানা করা হয়েছে।
বিচারক আহমদ আজহারী আবদুল হামিদ ৪৯ বছর বয়সী জহিরের বিরুদ্ধে এই সাজা প্রদান করেন। যিনি তার বন্ধু মিয়া সাদ্দামকে মুক্তি দেওয়ার জন্য প্ররোচিত হিসাবে তার বন্ধু মিয়া সাদ্দামের মাধ্যমে একজন পুলিশ অফিসারকে আরএম ১৫০ ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।
আরএম ১৫০ ব্যতীত অন্য জরিমানা যদি সরকারের প্রতি তার অধিকার বঞ্চিত করতে ব্যর্থ হয় তবে আদালত তাকে দুই মাসের জন্য জেল খাটানোর আদেশও দেয়।
অভিযোগপত্র অনুসারে, অভিযুক্ত ব্যক্তি পাবলিক স্থানে ফেস মাস্ক সঠিকভাবে না পরার অপরাধে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা না নেওয়ার প্ররোচনা হিসাবে ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করেছিল এবং তার বন্ধুটির পাসপোর্ট নেই।
জহিরের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৯ এর ১৭ (বি) ধারায় এই অপরাধ করার জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছিল, যা ২০ বছরের বেশি কারাদন্ড এবং জরিমানা বা ঘুষের মূল্যের পাঁচগুণ বেশি নয়, যেকোন বেশি হতে পারে তার চেয়ে দশ গুণ বেশি জরিমানার বিধান রয়েছে।
মামলাটি ডেপুটি পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আজলান বাসরী পরিচালনা করেছিলেন, যদিও অভিযুক্তকর পক্ষে কোন আইনজীবী উপস্থিত ছিল না।