আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
আফগানিস্তানে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছেন আল-কায়েদার শীর্ষ নেতা আয়মান আল জাওয়াহিরি। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর বলছে, ২০১১ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত গেল ১২ বছরে আল-কায়েদার অন্তত সাতজন শীর্ষ নেতাকে হত্যা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই রয়েছে নানা রোমহর্ষক ঘটনায় অংশ নেয়া কিংবা মদদ দেয়ার অভিযোগ।
আল কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেন। সৌদির এই নাগরিকের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে হামলাসহ বহু সন্ত্রসী কর্মকাণ্ডে মদত দেয়ার অভিযোগ ছিল। ২০১১ সালের মে মাসে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে নিজের আস্তানায় মার্কিন কমান্ডো হামলায় নিহত লাদেন।
আনোয়ার আওলাকি। আল-কায়েদার কোনো শীর্ষ পদে ছিলেন না যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেয়া এই ব্যক্তি। তবে দলে লোক ভেড়ানোসহ টেক্সাসের সেনা ঘাটিতে গুলি ও মার্কিন নাগরিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনার অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। ২০১১ সালে ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার পাঁচ মাস পর ইয়েমেনে ড্রোন হামলা চালিয়ে আওলাকিকে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্র।
বিন লাদেনকে হত্যার পর যে ঘটনাকে যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে বড় জয় বলে মনে করে, সেটি হলো আল-লিবির ওপর ড্রোন হামলা। পুরো নাম আবু ইয়াহিয়া আল-লিবি। লিবিয়ার এই নাগরিক ছিলেন আল-কায়েদার সেকেন্ড ইন কমান্ড। ২০১২ সালে পাকিস্তানের ওয়াজিরিস্তানের একটি গ্রামে ড্রোন হামলা চালিয়ে আল-লিবিকে হত্যা করে সিআইএ।
২০১৫ সালে আল-কায়েদার শীর্ষ পর্যায়ের তিন নেতাকে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্র।
পেশায় চিকিৎসক ছিলেন আদম গাধান। ১৯৯৫ সালে ইহুদি থেকে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেন তিনি। এরপর আল-কায়েদায় যোগ দেন। ২০১৫ সালে পাকিস্তানে ড্রোন হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয় দলটির শীর্ষ এ নেতাকে।
মহসিন ফাদলি। কৈশরেই তালেবানের হয়ে হাতে অস্ত্র তুলে নেন। পরে আল-কায়েদার খোরাসান গ্রুপের প্রধান হন। ২০১৫ সালের ৮ জুলাই সিরিয়ার তুরষ্ক সীমান্তে মার্কিন ড্রোন হামলায় তিনি নিহত হন।
২০১৫ সালে লিবিয়ায় নিজ কম্পাউন্ডে বিমান হামলায় নিহত হন আল-কায়েদা নেতা আবু নাবিল। পেন্টাগন জানায়, মিশরীয় ২১ জন কপ্টিক খ্রিস্টানের শিরচ্ছেদের ভিডিওতে আবু নাবিলকে নৃসংশতায় নেতৃত্ব দিতে দেখা গেছে।
সিআইএর ড্রোন হামলার সর্বশেষ শিকার আল-কায়েদা শীর্ষ নেতা আয়মান আল জাওয়াহিরি।