আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা এখন প্রায় পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্যযুদ্ধে রূপ নিয়েছে। সব দেশের ওপর পালটা শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত করলেও গত বুধবার চীনের পণ্যে উলটো শুল্ক বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা প্রায় সব চীনা পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর করছে ট্রাম্প প্রশাসন।
ট্রাম্প প্রশাসনের এমন পদক্ষেপের জেরে চীনও পাল্টা সিদ্ধান্ত নিয়ে মার্কিন পণ্যে শুল্কারোপ নিয়ে। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিবিসির লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন মার্কিন পণ্যে ১২৫ শতাংশ পাল্টা শুল্কারোপ করেছে। এর আগে গত বুধবার চীন মার্কিন পণ্যে ৮৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল। এ ছাড়া অনলাইনে পণ্য কেনাবেচার ওয়েবসাইট অ্যামাজনে নিজেদের পণ্যের দাম বাড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন চীনের ব্যবসায়ীরা।
এদিকে চীনের সর্বশেষ এই পদক্ষেপ নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি ট্রাম্প প্রশাসন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই এই অর্থনৈতিক শক্তির মধ্যে গত বছর, সব মিলিয়ে প্রায় ৫৮৫ বিলিয়ন ডলার (৫৮ হাজার ৫০০ কোটি ডলার) মূল্যের পণ্য বাণিজ্য হয়েছে।
যদিও চীন যুক্তরাষ্ট্র থেকে যে পরিমাণ পণ্য আমদানি করেছে তার তুলনায়, চীন থেকে অনেক বেশি পরিমাণে পণ্য আমদানি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। হিসাব অনুযায়ী, গত বছর চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি হয়েছে ৪৪০ বিলিয়ন ডলার (৪৪ হাজার কোটি ডলার) মূল্যের বাণিজ্য পণ্য আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীন আমদানি করেছে ১৪৫ বিলিয়ন ডলার (১৪ হাজার ৫০০ কোটি ডলার) মূল্যের পণ্য।
এর ফলে ২০২৪ সালে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ২৯৫ বিলিয়ন ডলার (২৯ হাজার ৫০০ কোটি ডলার)। এই ঘাটতি বেশ উল্লেখযোগ্য এবং এর পরিমাণ মার্কিন অর্থনীতির প্রায় এক শতাংশের সমান।