হোম অন্যান্যসারাদেশ মান-সম্মান নিয়ে জবি ছাড়তে চান ‘বিতর্কিত’ কোষাধ্যক্ষ

তানভীর আনজুম, জবি প্রতিনিধি:

মেয়াদের শেষ সময়ে মান সম্মান নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়তে চেয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, ‘আগামী ২৬ নভেম্বর আমার মেয়াদ শেষ হবে। মান-সম্মান নিয়ে জবি ছাড়তে চাই।’ এরআগে তিনি নানা কাজে বিতর্কের মুখে পড়েন।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) প্রয়াত জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হকের স্মরণে শোকসভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক একজন জ্ঞানী মানুষ ছিলেন। বিভিন্ন জায়গায় ওনার পদচারণা ছিল। ভালো কাজের জন্য তিনি সম্মানিত হয়েছেন। ওনার সাথে আমি অনেক কাজ করেছি। কাজের সুবাদে অনেক কাছ থেকে ওনাকে জানার সুযোগ হয়েছে। উনি একজন দক্ষ ও সৎ মানুষ ছিলেন। আমরা রাত জেগে অনেক কাজ করেছি। ওনার লেখা কোটেশনগুলো আমাকে সবসময় উৎসাহিত করেছে।

এদিকে এরআগে তিনি নানা ঘটনায় বিতর্কিত হন। নিয়োগ বানিজ্য, নতুন ক্যাম্পাস ও বর্তমান ক্যাম্পাসে নানা কাজে দুর্নীতি এবং চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী সাকা চৌধুরীর পরিবারের প্রতিষ্ঠান ‘এডিএল’কে কাজ পাইয়ে দেয়াসহ কোষাধ্যক্ষ কামালউদ্দিন আহমদের সকল অনিয়ম তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গত ৯ নভেম্বর চিঠি দেন শিক্ষক, কর্মকর্তারা।

চিঠিতে কোষাধ্যক্ষের ব্যক্তিগত আদর্শ নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলা হয়, তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক থাকাকালীন সময়ে বিএনপিপন্থী শিক্ষক সমিতির সাদা দলের আদর্শে উজ্জীবিত ছিলেন। এমনকি তিনি সাদা দলের পক্ষ থেকে শিক্ষক সমিতির নির্বাচনও করেন। চিঠির মাধ্যমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবীত নেতৃবৃন্দ এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করেন। একই সঙ্গে ট্রেজারারের দুর্নীতির বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থা বা বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানানো হয়।

এছাড়া সাকা চৌধুরীর পরিবার সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে টেন্ডার দেয়ায় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় কামালউদ্দিন আহমদকে প্রশাসনিকভাবে চরম অদক্ষ আখ্যায়িত করে। তাকে টেন্ডান কমিটি থেকে অপসারণ করতেও বলা হয়। অন্যদিকে ট্রেজারার হলেও মেয়াদের একবারও তিনি বাজেট সিন্ডিকেটে উপস্থাপন না করায় বিতর্কের মুখে পড়েন কামালউদ্দিন আহমদ।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন