রাজনীতি ডেস্ক:
প্রয়োজনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খুঁজে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত করা হবে। অবরোধের নামে বিএনপি যে গাড়িগুলো পুড়িয়েছে, সেগুলো কি তাদের বাপ-দাদার সম্পদ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান।
রোববার (১২ নভেম্বর) দুপুরে মাদারীপুরের পাদকী এলাকায় জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির নবনির্বাচিত নির্বাহী পরিষদের অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির অবরোধ দেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে উল্লেখ করে শাজাহান খান বলেন, বিএনপি-জামায়াত ও তাদের সমমনা দল অবরোধ ডেকেছে। কিন্তু মজার বিষয়, তাদের ডাকা অবরোধে গাড়ি চলে, ট্রেন ও লঞ্চ সব চলে। তাহলে কেন অবরোধ করে বিএনপি গাড়ি পুড়িয়ে দেয়। তাদের উদ্দেশ্যেই হল গাড়ি পুড়িয়ে মানুষের ক্ষতি করা, ভয়ভীতি দেখিয়ে গাড়ি বন্ধের চেষ্টা করা। বিএনপির এই চিন্তা বাস্তবায়ন হবে না। আন্দোলনের নামে নাশকতা করলে আওয়ামী লীগ মাঠে নামবে। আর আওয়ামী লীগ মাঠে নামলে পালাবার পথ পাবেন না বিএনপির নেতাকর্মীরা।
বিএনপির চলমান এই কর্মসূচিকে হঠকারী আন্দোলন বলে আখ্যা দিয়ে শাজাহান খান বলেন, বিএনপির আন্দোলন বাস্তব সম্মত নয়, এই হঠকারী আন্দোলন করে আগেও মানুষকে পেট্টোলবোমা মেরে হত্যা করেছে, গাড়ি ভাঙচুর করেছে, পুড়িয়ে দিয়েছে। এবারও আন্দোলনের নামে বিএনপি গাড়ি পোড়াচ্ছে। গণতন্ত্রের কথা বলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও নাশকতা করছে বিএনপি।
বাংলাদেশকে অকার্যকর একটি রাষ্ট্র বানিয়ে বিদেশিদের কাছে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র বানাতে চায় বিএনপি জানিয়ে শাজাহান বলেন, তাদের নেতা তারেক রহমান বিদেশে বসে বসে হুকুম দেন, আর বিএনপি নেতাকর্মীরা তাই বাস্তবায়ন করেন।
শাজাহান খান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় রাষ্ট্র পরিচালনাকারী ও জনগণকে নেতৃত্বদানকারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায় বিএনপি। বিএনপি উঠেপড়ে লেগেছে, বলে কিনা, ক্ষমতা ছেড়ে চলে যান, তা না হলে পালাবার পথ পাবেন না। এখন বিএনপি নেতারা পালিয়ে গেলো কোথায় সেই প্রশ্ন আমার? আওয়ামী লীগ কখনই পালিয়ে যায় নাই, বিএনপি পালিয়েছে। তাদের নেতা তারেক রহমান পালিয়েছে, এতদিন যারা মাঠ গরম করেছেন, তারাও কিন্তু মাঠ ছেড়ে পালিয়েছেন।
অভিষেক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় কেউ মারা গেলে সেটা প্রমাণ হলে সরকার তার পরিবারকে ৫ লাখ টাকা অনুদান দেবে। আর গুরুতর আহত ব্যক্তি তিন লাখ, এমনকি সামান্য আহত হলেও তিনি পাবেন এক লাখ টাকা।
তিনি বলেন, বীমা কোম্পানি এতোদিন যে টাকা ফাঁকি দিতো, বীমা কোম্পানির সেই টাকা দিয়েই ট্রাস্ট্রি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। এই ট্রাস্ট্রি বোর্ড থেকেই অনুদান বা সহযোগিতা দিচ্ছে সরকার।
জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি হাফিজুর রহমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সৈয়দ আবুল বাশার, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন সেলিম, জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সদস্য মফিজুর রহমান হাওলাদারসহ অনেকেই।