হোম আন্তর্জাতিক মাটির নিচের গোলকধাঁধায় বেতাল ইসরায়েলি সেনারা

মাটির নিচের গোলকধাঁধায় বেতাল ইসরায়েলি সেনারা

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 107 ভিউজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের গাজায় হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করার পর আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। সামরিক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে বর্তমানে গাজার ভূগর্ভে হামাসের বিস্তৃত টানেল নেটওয়ার্ক খুঁজে বের করে সেগুলো নিষ্ক্রিয় করার দিকে নজর দিয়েছে বাহিনীটি। এই লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই গাজার উত্তরাঞ্চল ঘিরে ফেলেছে ইসরায়েলের সেনারা।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হামাসের টানেল নেটওয়ার্ক খুঁজে বের করে সেগুলো ধ্বংস করতে এক মাসেরও বেশি সময় লেগে যেতে পারে। কারণ হামাসের এসব টানেল মাকড়সার জালের মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে পুরো গাজা অঞ্চলজুড়ে। গোলকধাঁধার মতো এসব টানেলে একবার প্রবেশ করলে পথ চিনে বের হওয়াটা একরকম অসম্ভবই বটে। ফলে হামাস সদস্যদের ওপর আক্রমণ করতে গিয়ে রীতিমতো নাকানিচুবানি খাচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

তেলআবিব বলছে, ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে হাসপাতাল, গির্জা, স্কুলের মতো মানবিক ও বেসামরিক স্থাপনাগুলোকে বেছে নিয়েছে হামাস। এসব স্থাপনার নিচেই নিজেদের টানেল ব্যবস্থাপনার হেডকোয়ার্টার তৈরি করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনটি। দেশটির সেনা কর্তৃপক্ষ বলছে, টানেল নেটওয়ার্ক ধ্বংস করতে হলে হাসপাতাল, গির্জা কিংবা স্কুলে নিয়মিত অভিযান চালাবে ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স বা আইডিএফ। আর এই অভিযান শেষ করতে লেগে যেতে পারে এক মাসেরও বেশি সময়।

২০০৭ সালে গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর গত দেড় দশকে উপত্যকাটির মাটির নিচে সুদীর্ঘ একটি সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে হামাস। গাজার সীমানা ছাড়িয়ে এসব সুড়ঙ্গ পৌঁছে গেছে ইসরায়েলের সীমান্ত পর্যন্ত। এসব সুড়ঙ্গ পথ দিয়েই হামাসের কাছে অস্ত্র পৌঁছে দেয় অস্ত্র চোরাকারবারীরা। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, গাজা শহরের মাটির নিচে হামাসের সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক ৫০০ কিলোমিটার দীর্ঘ। এর ছোট একটি অংশই কেবল ধ্বংস করতে পেরেছে ইসরায়েল।

গাজা শহরের মাটির নিচে হামাসের সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ককে ‘গাজা মেট্রো’ নাম দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর আগে প্রকাশ্যে আসা বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে, সুড়ঙ্গগুলো চলাফেরা করার মতো যথেষ্ট প্রশস্ত। এর ভেতরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা ছাড়াও রয়েছে গোলাবারুদ ও অস্ত্রশস্ত্র লুকিয়ে রাখার জন্য গোপন নানা স্থান। এগুলোর ভেতরে রয়েছে দীর্ঘ সময় ধরে অবস্থান করা কিংবা টিকে থাকার ব্যবস্থা। হামাস নেতারা এসব সুড়ঙ্গের ভেতরেই অবস্থান করেন এবং সেখান থেকে বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা ও নেতৃত্ব দেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন