হোম অন্যান্যসারাদেশ মাজারে হামলার ঘটনায় গণগ্রেপ্তার হবে না: অতিরিক্ত ডিআইজি

মাজারে হামলার ঘটনায় গণগ্রেপ্তার হবে না: অতিরিক্ত ডিআইজি

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 28 ভিউজ

নিউজ ডেস্ক:
রাজবাড়ী গোয়ালন্দে নুরাল পাগলার দরবারে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় নিরপরাধ কাউকে হয়রানি কিংবা গণগ্রেপ্তার করা হবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (অপারেশনস) মো. সিদ্দিকুর রহমান।

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে আলোচিত নুরাল পাগলার দরবারের ধ্বংসস্তূপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।

মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, একটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হাজার হাজার লোক অংশ নিতে পারে। কিন্তু যখন শান্তিপূর্ণ সমাবেশ অশান্ত হয়ে যায়, তখন সবার সম্পৃক্ততা থাকে না। তাই সবাইকে আসামি করা বা গ্রেপ্তার করা আইনসঙ্গত নয়। যারা অশান্তির কারণ, যারা আইনশৃঙ্খলা ভেঙেছে কেবল তাদেরই আইনের আওতায় আনা হবে। অপরাধীদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

তিনি আরও বলেন, যার বিরুদ্ধে তদন্তে সাক্ষ্যপ্রমাণ বেরিয়ে আসবে, যার অপরাধ খুঁজে পাওয়া যাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাতে যদি কেউ প্রশাসনে থাকে বা প্রশাসনের বাইরেও থাকে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সবকিছু আমরা করছি সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে, ভিডিও ফুটেজসহ যে কোনো বিষয়ে গোয়েন্দা তৎপড়তা, যে কোনো ধরনের ইনফরমেশন বিশ্লেষণ করে আমরা যখন নিশ্চিত হবো যিনি প্রকৃত অপরাধী তাকেই আইনের আওতায় আনা হবে।

অতিরিক্ত ডিআইজি বলেন, আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি, আশা করি, জনগণকে সুবিচার দিতে পারবো। গণগ্রেপ্তার বলতে যা বোঝায় ব্যাপারটা কিন্তু সেটা না, আইনকানুন সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আমরা একটা জাস্টিস করবো। আমরা কিন্তু গণপ্রেপ্তার কিরিনি। আমাদের গ্রেপ্তার খুবই সীমিত। এ ধরনের ঘটনায় জনগণ ভাবতে পারে হাজার হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হবে, ব্যাপারটা আসলে সেটা না। যারাই অপরাধী তারাই আইনের আওতায় আসবে।

তিনি আরও বলেন, একটি সমাবেশ শান্তিপূর্ণ হতে পারে, সমাবেশে অশান্তি হতে পারে, কিন্তু সবাই জড়িত থাকে না। যারা আইনশৃঙ্খলা ভেঙেছে আমরা তাদের আওতায় আনবো। একটা সমাবেশে হাজার হাজার লোক থাকতে পারে, নাশকতা সবাই করে না। সবাইকে গ্রেপ্তার করা সবাইকে আইনের আওতায় আনা এটা আইন সম্মত না। এ ছাড়া আমরা সব কিছু নজরদারি করছি, সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ প্রশাসন রয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে সবকিছু বলা যাবে।

এ সময় রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবু রাসেল এবং গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

এদিন দুপুর পৌনে ১টার দিকে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট মাজারে প্রবেশ করে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন