মাগুরা অফিস :
মাগুরার মহম্মদপুরে যৌতুক দাবিতে গৃহবধূ মনিরা খাতুন (১৮), হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামী ঘাতক স্বামী জিয়ারুলকে রবিবার রাতে স্থানীয় মধুমতি নদীর চর থেকে গ্রেপ্তার করেছে মহম্মদপুর থানা পুলিশ।
আজ সোমবার দুপুরে মাগুরা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালতে জিয়ারুল তার স্ত্রী হত্যার দায় ষ্কীকার করেছে বলে জানিয়েছে মহম্মদপুর থানার ওসি। এদিকে হত্যাকান্ডের পর রবিবার ওই গৃহবধূর পিতা আরিফ মোল্যা বাদী হয়ে স্বামী জিয়ারুলসহ ৫ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত কাঠের বাটাম আলামত হিসেবে জব্দ করেছে।
মামলার এজাহারে নিহতের স্বামী আরিফ মোল্যা অভিযোগ করেন, ৪ মাস আগে উপজেলার বাবুখালী ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের হারুন মুন্সির ছেলে জিয়ারুল মুন্সির সাথে তার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় জিয়ারুল মুন্সিকে ব্যবসার জন্য দুই লাখ টাকা, সাংসারিক মালামাল ও আসবাবপত্র দেয়া হয়। এরপর থেকে জিয়ারুল মুন্সি ও তার পরিবার যৌতুকের জন্য মেয়ে মনিরাকে শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করতে থাকে। এরই একপর্যায়ে জিয়ারুল মুন্সি আরও ১ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। দাবিকৃত টাকা আনতে অস্বীকার করলে মারপিট করে আসামীরা মনিরাকে তার বাবার বাড়িতে রেখে যায়। পরবর্তীতে বিভিন্ন শর্তে মনিরাকে আসামীরা আবার নিয়ে যায়। এরপর ২৫ ডিসেম্বর রাতে জানতে পারে জিয়ারুল ও তার পরিবারের সদস্যরা মেয়ে মনিরাকে তাদের বসতঘরের মধ্যে আটকে রেখে মারপিট ও আঘাত করে হত্যা করেছে।
মহম্মদপুর থানার অীপসার ইনচার্জ (ওসি) তারক বিশ্বাস জানান, গৃহবধূর হত্যার প্রধান স্বামী জিয়ারুল মুন্সিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে তাকে মাগুরা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালতে পাঠালে জিয়রুল তার স্ত্রী হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে। ওই গৃহবধূর পিতা বাদী হয়ে ৫ জনের নামে থানায় হত্যা মামলা করেছে। মামলার পলাতক অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি কাঠের বাটাম আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২৫ ডিসেম্বর রাতে মাগুরার মহম্মদপুরের রায়পুর গ্রামে বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা আনতে অস্বীকার করায় মনিরা খাতুন (১৮) নামে এক গৃহবধুকে পিটিয়ে হত্যা করে তার স্বামী জিয়ারুল মুন্সী ও তার পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনার পর থেকে ঘাতক স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
s