মাগুরা অফিস :
মাগুরা সদরের তিতারখা পাড়া গ্রামে সামাজিক দলাদলীতে সৃষ্ট বিরোধের জের ধরে ১৫ টি বাড়ি ঘরে ভাংচুর ও ব্যাপক লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। আজ রবিবার সকালে স্থানীয় মঘি আওয়ামী লীগের সদস্য রেজাউল ইসলাম ও একই দলের অপর সদস্য হাসান আলীর পর্ব বিরোধ নিয়ে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ভূক্তভোগীরা জানান- রেজাউল ইসলাম ও হাসান আলী দীর্ঘদিন ধরে একই সামাজিক দলে অর্ন্তভুক্ত হয়ে গ্রাম্য দলের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলো। সম্প্রতি নেতৃত্বের বিরোধ নিয়ে হাসান আলী রেজাউল ইসলামের সামাজিক দল ত্যাগ করে পৃথক একটি সামাজিক দল গঠন করে। এই নতুন সামাজিক দলের সদস্যদের নিয়ে শনিবার রাতে হাসান আলী এলাকায় বিশেষ খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করে। যা নিয়ে উত্তেজনা তৈরী হয়।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রেজাউল ইসলামের সমর্থরা রবিরার সকালে হাসান আলীর সমর্থক মাহবুব বিশ্বাস, হাসান, বাশার, পান্না, রফিক, জিন্নাহ, সাগরসহ অন্তত ১৫ টি বাড়িতে ব্যাপক হামলা, ভাংচুর, লুটপাট চালায়।
ক্ষতিগ্রস্ত মাহবুব বিশ্বাস জানান, প্রতিপক্ষের হামলায় অধিকাংশ বাড়ির টিনের চাল, টিনের বেড়া, বিদ্যুতের মিটার, দরজা, বাথরুমের দরজাসহ একাধিক জায়গায় ভাংচুর চলিয়েছে। এ সময় বাড়ির পুরুষেরা পালিয়ে প্রাণ রক্ষা করলেও মহিলা ও শিশুরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। বাড়িঘরে ঢুকে ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর ও মূল্যবাণ জিনিষপত্র লুট করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করে ক্ষতিগ্রস্তরা।
ওই গ্রামের গৃহবধূ রিক্তা বেগম জানান, রবিবার সকালে হঠাৎ করে রেজাউল ইসলামের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। তিনি দ্রু
ত তার স্বামীকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। এসময় প্রতিপক্ষরা তার ঘরের টিনের চাল, বেড়া কেটে ও দরজা ভেঙ্গে ব্যাপক ক্ষতি করে।
তারা। তিনি কাদতে কাঁদতে বলেন, দুটি শিশু সন্তান নিয়ে হামলাকারিদের কাছে বাড়িটি রক্ষার জন্য বারবার ভিক্ষা চাইলেও কিন্তু কোনোভাবেই তার ঘরটি রক্ষা হয় নিা। তিনি হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও সুষ্ঠ বিচার এর দাবি জানান। পুনরায় হামলার আশংকায় শিশু সন্তানদের নিয়ে আতংকে রয়েছেন বলে তিনি জানান।
মাগুরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জয়নাল আবেদিন জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুনরায় সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
s
