মাগুরা অফিস :
করোনা স্বাস্থবিধি মেনে মাগুরার পৌরসভার ইটখোলা এলাকায় বসেছে মডেল গরু ছাগলের হাট। পৌরসভা ও ছাত্রীলীগের স্বেচ্ছাসেবকের তত্বাবধানে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রতিদিন বসছে কোরবানির এই হাট। স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশের কারণে এ হাটে কোরবানির পশু বিক্রি ভালো হচ্ছে বলে জানিয়েছে হাট কর্তৃপক্ষ।
হাটের স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্বে থাকা জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক নাহিদ খান জানান, কোরবানির পশু কেনার জন্যে হাটে যাওয়াটা আমাদের ধর্মীয় সাংস্কৃতির একটি অংশ। কিন্তু হাটে মানুষের সমাগমমে ব্যাপক স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে করোনা পরিস্থিতিতে। এ কারণে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও জেলা ছাত্রলীগ মডেল হাটে যাতে ক্রেতা-বিক্রেতাসহ সংশ্লিষ্টরা করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন এ বিষয়ে নানা উদ্যোগ নিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে সবাইকে মাস্ক পরিধানে বাধ্য করা।
সাবান দিয়ে নিয়মিত হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা। হাটে একাধিক প্রবেশমুখ তৈরী করে সেখানে জীবানুনাশক টানেল স্থাপন। ক্রেতা বিক্রেতাদের মাঝে মাস্ক ও সেনিটাইজার বিনা মুল্যে বিতরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। গোটা ব্যবস্থার তদারকিতে রয়েছে মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর, পৌর মেয়র খুরশীদ হায়দার টুটুল, চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ ইমাম বাকেরসহ জেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ। হাটের স্বাস্থবিধির বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ক্রেতা-বিক্রেতা ও হাট ইজারা নেয়া সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
হাটে কোরবানির পশু কিনতে আসা মাগুরা সদরের ইছাখাদা গ্রামের আবু মিয়া বলেন,‘অতীতে এ ধরণের হাট জেলায় দেখা যায়নি। এখানে সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে। যা করোনা ঝুঁকি অনেক অংশে কমিয়ে দিয়েছে।’ একই ধণের মন্তব্য করেছেন শহরের দোয়াড়পাড়ের গাজী ইমামসহ হাটে আসা ক্রেতা বিক্রেতা সহ অন্যরা।
হাট ইজারাদার নুরুল ইসলাম জানান, মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখরের নির্দেশনায় এ হাট পরিচালিত হচ্ছে। এখানে ক্রেতা বিক্রেতাদের সামাজিক দুরত্ব মেনে কেনা-বেচা করছে। স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে প্রতিনিয়ত মাইকে প্রচার চালানোর পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবকরা বিনামূল্যে মাস্ক ও সেনিটাইজার বিতরণ করছে।
স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশের কারণে অনেক ক্রেতা এ হাটে আসছে তাদের পছন্দ মতো কোরবানির পশু কিনছে। আজ শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত এ হাটে বেচা কেনা চলবে। শুক্রবার দুপুরে হাটে গিয়ে দেখা গেছে, সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে সেখানে পশু কেনা বেচা করছেন ক্রেতা বিক্রেতারা। হাটে বিভিন্ন স্থানে জাতীয় পতাকার আদলে বসানো হয়েছে পশু কেনা বেচার নির্ধারিত সেড। এছাড়া স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে সেনিটেশনের সব ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।