বাণিজ্য ডেস্ক:
মাগুরায় বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট-বিনা উদ্ভাবিত স্বল্প জীবনকালীন ও উচ্চ ফলনশীল তেল ফসলের জাত পরিচিতি, চাষাবাদ কৌশল ও ফসল সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনা শীর্ষক কৃষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৮ নভেম্বর ২৩) দুপুরে বিনা মাগুরা উপকেন্দ্রের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপকেন্দ্রটির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোহাম্মদ আসাদ উল্লাহ’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন বিনার মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম, বিনা পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. আব্দুল মালেক, তেলবীজ ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের পরিচালক ড. মো. রফিকুল ইসলাম, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক সুফি মো. রফিকুজ্জামান, জেলা বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তা ড. মো. মোশাররফ হোসেন, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় জানানো হয়, দেশে প্রতিবছর ২৫ থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকার সয়াবিন ও পাম জাতীয় তেল বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এ সব তেলের অধিকাংশই মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এর বিপরীতে পরমানু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট আবিষ্কৃত বিনা সরিষা-৪, বিনা সরিষা-৭, বিনা সরিষা-৮, বিনা সরিষা -৯ ও বিনা সরিষা-১১ সহ বিনা উদ্ভাবিত তিল, বাদাম চাষ করে কৃষকরা বেশি লাভবান হতে পারছেন।
এ জাতীয় তেল ফসল এর বহুল আবাদের ফলে জনস্বাস্থ্য হুমকি থেকে বাঁচবে। উচ্চ ফলনশীল হওয়ায় এ জাতগুলি থেকে প্রাপ্ত তেল জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। প্রচলিত তেল বীজের তুলনায় এ জাতগুলির ফলন প্রায় দ্বিগুন। এ জাতগুলি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রোগব্যাধি , লবণাক্ততা ও সাময়িক জলমগ্নতা সহিষ্ণু। দেশের আবহাওয়া ও মাটিতে সহজে ও স্বল্প খরচে চাষ উপযোগী উচ্চ ফলনশীল এসব জাতের তেল বীজ একবার চাষ করলে কৃষকরা নিজের ক্ষেত থেকেই বীজ সংগ্রহ করতে পারে। স্বল্প জীবনকাল হওয়ায় এ চাষে সার ও কিটনাষক খরচ কম হওয়ায় কৃষকরা অধিক লাভবান হচ্ছেন।
কর্মশালায় মাগুরা, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, যশোর ও মেহেরপুর জেলার ১০০ কৃষক অংশ নেন।