হোম অন্যান্যসারাদেশ মাগুরায় ছয় মণ ওজনরের ৬০ হাজার টাকার ধাতব মুদ্রা নিয়ে বিপাকে এক সবজি বিক্রেতা

মাগুরায় ছয় মণ ওজনরের ৬০ হাজার টাকার ধাতব মুদ্রা নিয়ে বিপাকে এক সবজি বিক্রেতা

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 140 ভিউজ

মাগুরা অফিস :

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা সদরে প্রায় ৬ মণ ওজনের ৬০ হাজার টাকার ধাতব মুদ্রা (কয়েন) নিয়ে বিপাকে পড়েছেন খাইরুল ইসলাম খবির (৪৫)নামের এক সবজি বিক্রেতা।
১০ বছর ধরে পচিশ পয়সা, পঞ্চাশ পয়সা এক টাকা ও দুইটাকার ধাতব মুদ্রা (কয়েন) জমে গেছে তাঁর কাছে। এসব মুদ্রা লেনদেন সরকার বাতিল না করলেও খরিদ্দাররা আর নিতে চান না। কার্যত অচল বিপুল পরিমান মুদ্রা নিয়ে তিনি এখন চরম বিপাকে পড়ছেন।
খবিরের বাড়ি উপজেলা সদরের জাঙ্গালিয়া গ্রামের মৃত জহুর ফকিরের ছেলে খবির মহম্মদপুর সদর বাজারের একজন সবজি ব্যবসায়ী।
খবির জানান, তিনি ২৫ বছর ধরে সবজির ব্যবসা করেন। গত দশ বছরে তাঁর কাছে প্রায় ছয় মণ ওজনের কয়েন গুলো জমে যায়। একসময় হিসাব করে দেখেছেন এই কয়েন প্রায় ৬০ হাজার টাকার বেশি।

বিভিন্ন সময় সবজি ক্রেতারা সবজির দাম হিসেবে তাকে কয়েন দিয়েছেন। তিনি নিয়েছেন। তখন ভাবতে পারেননি এ কয়েন আর লেনদেন হবে না।
তিনি জানান, অনেক দরিদ্র মানুষ ও ভিক্ষুকেরা কয়েন দিয়ে সবজি কিনেছেন। আমি মুখের উপর তাদের না বলতে পারিনি। ফেরত দিতে পারিনি।
খবিরের বাড়িতে দেখা গেছে, খবিরের ছোট্ট বসত ঘরের মেঝে জুড়ে প্লাস্টিকের বড় চারটি বালতি আর দুই বস্তা বোঝাই শুধু কয়েন আর আর কয়েন। একেকটি পাত্রের ওজন একমণের ওপরে। একসময় কয়েনগুলো বাজারে রাখলেও এখন বাড়িতে এনে রেখেছেন।
অনেক জায়গায় ঘুরে কয়েনগুলো চালাতে পারেননি। কোন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এই বিপুল খুচরা পয়সা আার নিতে চান না।
আক্ষেপ করে খবির বলেন, তাঁর মোট ব্যবসার পুঁজি তিনের দুই ভাগ কয়েনের মধ্যে চলে গেছে।
দুই ছেলে মেয়ে স্ত্রীসহ চার সদস্যের পরিবার নিয়ে তিনি কষ্টে আছেন। তিনি চান তার গচ্ছিত কয়েনগুলো বদলে টাকা পাওয়ার জন্য ব্যাংকসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন