মাগুরা অফিস :
মাগুরা সদর উপজেলার লক্ষীকান্দর এলাকায় নিজ বাড়ির সামনে থেকে ভরতচন্দ্র বিশ্বাস (৪০) নামে এক যুবক অপহরণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রবিবার বিকালে এ অপহরণের ঘটনা ঘটে। অপহৃত ভরত ওই গ্রামের গোপাল বিশ্বাসের ছেলে। সে মাগুরা শহরের ঢাকা রোড এলাকায় মিজান এন্টারপ্রাইজের কর্মচারী হিসাবে কাজ করতেন। এ ব্যাপারে সোমবার বিকালে ভরতচন্দ্রের স্ত্রী মুক্তা বিশ্বাস মাগুরা সদর থানায় একটি অপহরণ মামলা করেছে।
ভরতচন্দ্রের স্ত্রী মুক্তা বিশ্বাস জানান, রবিবার বিকাল ৫ টার দিকে সে তার স্বামীর সাথে বাড়ির অদুরে দোকানে যায়। সেখানে কেনা কাটা শেষে তারা বাড়ি ফিরে আসার সময় একটি মাইক্রোবাসসহ দুজন ব্যক্তি তাদের পিছু নেয়। তারা বাড়ির সামনে এলেই মাইক্রোবাস থেকে চার-পাঁচজন নেমে স্বামী ভরতকে জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। এসময় সে বাধা দিলে দুর্বৃত্তরা তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে দ্রæত গতিতে মাইক্রোবাসটি মাগুরা শহরের দিকে চলে যায়।
অপহৃত ভরতচন্দ্রের ছোট ভাই বিদ্যুৎ বিশ্বাস বলেন,‘আমি ঘটনা শোনামাত্রই মটরসাইকেল নিয়ে মাইক্রোবাসের পিছু নিই। মাগুরা শহরের ঢাকা রোড এলাকায় যানজটে মাইক্রোবাসটি আটকে পড়লে,মাইক্রোবাসটি থামিয়ে আমার দাদাকে বের করতে বললে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা বলে গাড়িতে তোর দাদা নেই। যানজট এড়িয়ে তারা দ্রæত মাইক্রোবাস নিয়ে ভায়নার মোড়ের দিকে চলে যায়।
ভরতচন্দ্রের বাবা গোপাল বিশ্বাস অভিযোগ করেন, ৫ বছর আগে তার একমাত্র মেয়ে ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জের কালারবাজার নিজ শ্বশুরবাড়ি খুন হয়। এ নিয়ে একটি হত্যা মামলা চলছে। ছেলে অপহরণের পর তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার ট্রাকিং করে কালারবাজার শেষ গন্তব্য দেখিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার ধারণা মেয়ের হত্যা মামলার আসামী শ্বশুরবাড়ির লোকজনও এ অপহরণ ঘটাতে পারে।
মাগুরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জয়নাল আবেদীন জানান, এ বিষয়ে সাধারণ ডায়েরী করার পর অপহৃত ব্যক্তির মোবাইল নাম্বার ট্রাকিং করলে প্রথমে অবস্থান দেখায় ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ কালারবাজার এলাকা। তবে সোমবার সকালে অবস্থান পরিবর্তন করে নিজ গ্রাম লক্ষীকান্তের পাশে বেলনগর গ্রামে অবস্থান দেখা গেছে। এ বিষয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে ভরতচন্দ্রের স্ত্রী মুক্তা বিশ্বাস বাদী হয়ে মামলা করেছে। অপহৃত ব্যক্তির উদ্ধারে পুলিশ গুরুত্বসহকারে দেখছে বলে তিনি জানান।