হোম অন্যান্যসারাদেশ মাগুরার মহম্মদপুরের অগ্নিদগ্ধ কলেজ ছাত্রী ২২ দিন পর মারা গেল

মাগুরার মহম্মদপুরের অগ্নিদগ্ধ কলেজ ছাত্রী ২২ দিন পর মারা গেল

কর্তৃক
০ মন্তব্য 77 ভিউজ

মাগুরা অফিস :

২২ দিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে মাগুরার মহম্মদপুরের কেড়িনগর গ্রামের অগ্নিদগ্ধ কলেজ ছাত্রী আকলিমা খাতুন মঙ্গলবার রাতে মারা গেছে। সে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারী ইনস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলো। আকলিমা কেড়িনগর এলাকার আকরাম হোসেনের মেয়ে। সে কাজী সালিমা হক মহিলা কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্রী।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আকলিমা খাতুনের (১৮) সাথে একই গ্রামের মাসুদ মোল্যার ছেলে নাজমুল মোল্যার সাথে প্রেমের সম্পর্ক থাকায় দুই বছর আগে নিজেরা বিয়ে করে। কিছুদিন পরে তাদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়। দাম্পত্য সম্পর্কে বনিবনা না হওয়ায় বিয়ের ৭ মাসের মাথায় আকলিমা স্বামী নাজমুলকে তালাক দেয়। বিষয়টি নাজমুল মেনে নিতে পারেনি। কিছুদিন পর থেকে নাজমুল আবারো আকলিমাকে বিয়ে প্রস্তাব দিয়ে নানাভাবে চাপ দিতে থাকে। আকলিমা তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নাজমুল ক্ষিপ্ত হয়ে তার শরীরে এ্যাসিড মারার ও ঘরে আগুন জ¦ালিয়ে দেয়াসহ বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়।

বিষয়টি নিয়ে আকলিমা তার পরিবারকে জানায়। এরই মধ্যে গত ১৫ আগস্ট ঘটনার রাতে বাড়ির মধ্যে পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলার এক সময় আকলিমা শৌচালয়ে যাওয়ার কথা বলে উঠে আসে। সেখানে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা নাজমুল তার লোকজন নিয়ে আকলিমার ব্যবহৃত ওড়না দিয়ে তার বিভিন্ন স্থানে বেঁধে শরীরে জ্বালানী ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। মুহুর্তে আগুনে আকলিমার শরীরে বিভিন্ন অংশ পুড়ে যায়। এ সময় তার চিৎকারে পরিবারের লোকজন ছুটে এসে দেখে বাধা অবস্থায় আকলিমার শরীরে আগুন জ¦লছে। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতাল ভর্তি করে।

পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ১৭ আগস্ট ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারী ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাতে তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর ১৭ আগস্ট আকলিমার দাদা রতন মোল্যা বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামী করে মহম্মদপুর থানায় একটি মামলা করে। পুলিশ তাৎক্ষনিকভাবে মামলায় অভিযুক্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে আরিফ মোল্যা, হারেজ মোল্যা, মাসুদ মোল্যা, কামরুল হাসান ও বাবুল মোল্যা। তবে মুল অভিযুক্ত নাজমুল এখনো পলাতক রয়েছে। মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তারক বিশ্বাস আকলিমার মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়েছে। মামলার ৫ আসামী ইতিমধ্যে গ্রেফত্র করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। পলাতকদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন