হোম অন্যান্যসারাদেশ মাইকে আজানের প্রতিবন্ধকতাকারীদের বিরুদ্ধে শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন

মাইকে আজানের প্রতিবন্ধকতাকারীদের বিরুদ্ধে শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন

কর্তৃক
০ মন্তব্য 115 ভিউজ

শ্যামনগর অফিস:
শ্যামনগর উপজেলার ৮ নং ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের বংশীপুর বাসষ্ট্যান্ড মিনা জামে মসজিদে মাইকে আজান দেওয়ার প্রতিবন্ধকতাকারীদের বিরুদ্ধে শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৫ টায় শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য প্রদান করেন- বংশীপুর বাসষ্ট্যান্ড মিনা জামে মসজিদের ইমাম-মাওলানা আনারুল ইসলাম।

লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, শ্যামনগর উপজেলার ৮ নং ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের বংশীপুর বাসষ্ট্যান্ড মিনা জামে মসজিদটি প্রায় ৩৫ বছর যাবত হাজার হাজার মুসল্লীগন নামায আদায় করে আসছেন। অথচ সমজিদের পাশ্ববর্তী মৃত দরবার গাজীর পুত্র মোহাম্মাদ আলী ও তার স্ত্রী কন্যারা মসজিদের মাইকে আজান দেওয়া প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছে। তারা প্রায় সময় মসজিদের মাইকে আজান দেওয়ার সময় মাইক বন্ধ করতে বলে। তাদের ঘুমের বিঘ সৃষ্টি করার অজুহাত তুলে মাইকে আজান বন্ধ করার অপচেষ্টা করছে।

এ নিয়ে মুসল্লী ও এলাকাবাসীদের মধ্যে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত মনে করে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। গত ১১ জুলাই ২০২০ তারিখে মোহাম্মাদ আলীর স্ত্রী ও তার ৫ কন্যা সংঘবদ্ধ হয়ে মসজিদের ভিতর ঢুকে মসজিদের মাইক বন্ধ করতে অশ্রাব্য ভাষায় মুয়াজ্জিন কামরুল ইসলামকে গালিগালাজ ও মারধর করতে উদ্ধত হয়। পরবর্তীতে মাইকে আজান দেওয়া হলে মুয়াজ্জিনকে মারধর ও খুন জখমের হুমকি দিয়ে তারা চলে যায়। এ ঘটনায় শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও শ্যামনগর থানা অফিসার ইনচার্জ বরাবরে মোহাম্মাদ আলী সহ তার স্ত্রী ও কন্যাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থার জন্য অভিযোগ করায় তার বিচার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ সমজিদে মাইকে আজান দেওয়ার প্রতিবন্ধকতাকে কেন্দ্র করে যেকোন মুহুর্তে শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট, মারামারি বা বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। মোহাম্মাদ আলী ও তার পরিবারের এ ধরনের গর্হিত কাজ থেকে বিরত রাখতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন