হোম অন্যান্যসারাদেশ মাইকিং করে বাড়িঘর ভাঙচুর- লুটপাট- অগ্নি সংযোগ। পুলিশসহ আহত ১৫ জন

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে ২ দিন ধরে ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ট রাবার বুলেট ও কাঁদনে গ্যাস ছুঁড়ে।

৭ মার্চ ও ৮ মার্চ দুই দিনব্যাপী উপজেলার ছয়সূতী ইউনিয়নের মাধবদী ও কলাকোপা গ্রামবাসীর মধ্যে দফায় দফায় এ ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়া, হামলা, বাড়ীঘর ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। হামলায় পুলিশসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনতে থানা পুলিশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ও কাঁদনে গ্যাস ছুঁড়ে।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, শনিবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যায় ছয়সূতি ইউনিয়নের কলকোপা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মীর সাইকুল ইসলাম মসজিদে যাবার সময় পেছন থেকে আসা ব্যাটারী চালিত একটি অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দেয়। এতে মীর সাইকুল ইসলাম আহত হন। এই ঘটনায় অটোরিকশা চালক মাধবদী গ্রামের আব্দুল্লাহকে আটক করে কলাকোপা গ্রামের যুবকরা তাকে চর- থাপ্পর দেয়। এ ঘটনায় অটোরিকশা চালক আব্দুল্লাহর গ্রামের লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে পরদিন রোববার সকাল ৯ টায় মাধবদী লোকজন জড়ো হয়ে কলাকোপা গ্রামে ঢুকে পড়ে। দুই এলাকার লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় একটি পাকা ঘরসহ চারটি বসত ঘরে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। ঘটনার পরদিন সোমবার সকালে পুনরায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে আবার সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় হামলাকারীরা হাজী মোঃ সিরাজুল ইসলাম শিরুর দুইটি বসতঘরে অগ্নিসংযোগ করে একাধিক বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে।

খবর পেয়ে ভৈরব সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রেজওয়ান দিপু, কুলিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ইয়াছির মিয়া, কুলিয়ারচর পৌর মেয়র হাসান সারোয়ার মহসিন ও কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম সুলতান মাহমুদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এ ব্যাপারে ছয়সূতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর মোঃ মিছবাহুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আহত মীর সাইকুল ইসলাম তার বড় ভাই। তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক এবং এলাকার সর্বজন শ্রদ্ধেয় মানুষ। শনিবার সন্ধ্যায় অটোরিকশা চালক তাকে ধাক্কা দেয়। ওই চালক রিকসাটি না থামিয়ে দ্রæত চলে যাবার কারণে আমাদের কলাকোপা গ্রামের কয়েকজন যুবক তাকে শাসন করতে আটক করে। পরে বিষয়টি সমাধানের জন্য মাধবদী গ্রামে যোগাযোগও করা হয়। কিন্তু তারা কারো কথা না শুনে রোববার সকালে আমাদের গ্রামে হামলা করে।

অভিযোগ অস্বীকার করে মাধবদী গ্রামের মোঃ জহিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় তারা তুচ্ছ বিষয়কে পুঁজি করে অটোরিকশা চালক আব্দুল্লাহকে আটক করে মারধর করে। ফলে রোববার সকালে দু’পক্ষের লোকজনের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) এ কে এম সুলতান মাহমুদ বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে। সংঘর্ষ থামাতে কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ছুঁড়া হয়েছে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

s

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন