রাজনীতি ডেস্ক:
ঠাকুরগাঁওয়ে মহিলা দলের বিক্ষোভ মিছিল থেকে এক আইনজীবীকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় ছাত্রদলের এক নেত্রীর সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে ওই আইজীবীকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে আটক করা হয়। আটক আইনজীবীর নাম ইয়াজুল ইসলাম। তিনি একই এলাকার বাসিন্দা।
ভুক্তভোগী ছাত্রদল নেত্রীর নাম নাজমা আক্তার শিখা। তিনি সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপির-ডাকা ৪৮ ঘণ্টা হরতালের সমর্থনে ও দলটির মহাসচিবসহ নেতাকর্মীদের গ্রেফতার এবং নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ঠাকুরগাঁও জেলা মহিলা দল। বিএনপির জেলা মহিলা দলের সভাপতি ফোরাতুন নাহার প্যারিসের নেতৃত্বে মিছিলটি দলীয় কার্যালয়ে থেকে বের হয়ে শহরের আমতলা হয়ে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ে ফিয়ে যায়। এতে অংশ নেন আইজীবী ফোরামের নেতারাও। এ সময় নেতাকর্মীরা সরকারের পদত্যাগ ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। পরে সেখানেই তারা সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন।
এ সময় ইয়াজুল ইসলাম নামে এক আইজীবীকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে পুলিশ আটক করে। তাকে টেনে হিঁচড়ে ভ্যানে তোলে। আইজীবীকে আটকের সময় জেলা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমা আক্তার শিখার সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়।
এ বিষয়ে জেলা মহিলা দলের সভাপতি ফোরাতুন নাহার প্যারিস বলেন, গত ২৮ তারিখের শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশে আওয়ামী লীগ হামলা চালিয়েছে। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে তারাই হামলা চালিয়েছে, পুলিশ ফাঁড়িতেও তারাই হামলা চালিয়েছে। বিএনপি এসব কিছু করেনি। তবুও তারা মিথ্যা মামলায় গেফতার-হয়রানি করছে।
আগামীকাল হরতালের সমর্থনে আজও একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করলে শহর ঘুরে আসার পর এক আইনজীবীকে আটক করে পুলিশ। যা নিন্দনীয়। অবিলম্বে তার মুক্তির দাবি করছি। বিএনপির দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা মাঠে থাকবেন বলে জানান তিনি।
আইনজীবীকে আটকের ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির জানান, উস্কানির অভিযোগে ইয়াজুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে।