অনলাইন ডেস্ক:
মহার্ঘ ভাতা বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ১১ থেকে ২০ গ্রেডের সরকারি চাকরিজীবীরা। এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত সরকার নিয়ে থাকলে কর্মবিরতিসহ কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সরকারি চাকুরিজীবী ফোরাম আয়োজিত এক প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচিতে হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।
আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার নিশ্চয়তা না পেলে ৭ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে সরকারি চাকুরিজীবী ফোরাম।
প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা অবিলম্বে বৈষম্যমুক্ত ৯ম পে স্কেল দেওয়ার জন্য পে কমিশন গঠনের দাবি জানান। একই সঙ্গে যে সকল কর্মচারী বেতন স্কেলের শেষ ধাপে চলে গেছেন, তাদের বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি চলমান রাখার আহ্বান জানান তারা।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, গত ৭ বছর ধরে বৈষম্যমুক্ত পে-স্কেলের দাবিতে আন্দোলনের পরে বৈষম্যবিরোধী সরকার মহার্ঘ ভাতা প্রদানের কমিটি গঠন করেছে, যার ফলে কর্মচারীরা আশার আলো দেখেছিল। কিন্তু কিছু সুশীল নামধারী লোক এর পিছনে লেগেছে যেন সরকারি কর্মচারিদের বেতন বাড়ালেই দেশে যত সমস্যা। নিম্ন বেতনভোগীরা কত কষ্ট আছে ,তা বিবেচনা না করে তারা উপসচিবদের সুযোগ সুবিধার সঙ্গে তুলনা করে কর্মচারীদের বিপক্ষে কথা বলছেন।
১১-২০ গ্রেডের সরকারি চাকুরিজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও সমন্বয়ক মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, আমরা পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারলাম এখন আর মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হবে না। যদি এ ধরনের কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তাহলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। প্রয়োজনে সারা দেশে কর্মবিরতির মতো কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ফোরামের সভাপতি লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি জিয়াউল হক, সহ-সভাপতি আশফাকুল আশেকীন, ১১-২০ ফোরামের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী, অর্থ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম, সহ-সম্পাদক আনিসুর রহমান, মো. শাহআলম, ঢাকা বিভাগ সাধারন সম্পাদক আশিকুর রহমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি রবিউল ইসলাম সোহাগ, মহানগরের যুগ্ম আহবায়ক মনির হোসেন, কেফায়েত হোসেন সোহাগ, সহ-সভাপতি ফজলুর রহমান।