জাতীয় ডেস্ক:
মসজিদ আল হারামের ইমাম হতে চান বিশ্ব কোরআন প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন কিশোর হাফেজ বশীর আহমাদ। তিনি মদিনা ইসলামী বিশ্ব বিদ্যালয়ে পড়ারও স্বপ্ন দেখে।
ইরানে প্রতিযোগিতার পর রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) লাখাই উপজেলার জন্মভূমিতে ফিরে হাফেজ বশীর এসব কথা জানান।
হাফেজ বশির আহমাদ লাখাই উপজেলার বেগুনাই গ্রামের শিক্ষক আব্দুর রশিদ ও বুশরা চৌধুরীর ছেলে। সম্প্রতি ইরানে রাজধানী তেহরানে অনুষ্ঠিত কোরআন প্রতিযোগিতায় শতাধিক প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে তিনি চ্যাম্পিয়ন হন।
বিজয়ের পর তার অনুভূতি জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে লাল-সবুজের পতাকা উড়ানোর ব্যাপারটি আমার কাছে রোমাঞ্চকর ছিল। ইরানের তেহরানে কখনও আমার নাম ডাকা হয়নি, সবাই আমাকে বাংলাদেশ নামে ডেকেছে। বিশ্বের বৃহত্তম মঞ্চের এ অনুষ্ঠানে প্রতিযোগীদের উচ্চ নিরাপত্তার মাধ্যমে রাখা হয়।
ভবিষ্যতে কি হতে চান জানতে চাইলে বিশ্বজয়ী এ হাফেজ বলেন, আমি মদিনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে মসজিদ আল হারামের ইমাম হতে চাই। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
এছাড়া বিশ্ব কোরআন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে ইরানের প্রেসিডেন্ট এব্রাহিম রাইসির সঙ্গেও কথা হয়েছে হাফেজ বশীর আহমাদের। এ প্রসঙ্গে বশির বলেন, প্রেসিডেন্ট এব্রাহিম রাইসি নিজে পুরস্কার তুলে দিয়েছন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের ছেলেরা অনেক ভালো করছে। তারা আরও এগিয়ে যাবে বলে আমি মনে করছি।
বশির আহমাদের শিক্ষকরা জানান, এই সফিলতার পেছনে তাকে অনেক শ্রম দিতে হয়েছে। অসংখ্য দিন রোজা থেকে সে প্রাপ্য সম্মানটা পেয়েছে।