হোম জাতীয় মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় কান্নায় ভেঙে পড়লেন গ্রাম পুলিশ এসকেন

জাতীয় ডেস্ক:

দুইবার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য পদে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে পরাজিত হয়েও থামেননি গ্রাম পুলিশ মো. এসকেন আলী। বুকভরা স্বপ্ন নিয়ে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন তিনি। তবে এবার তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণার খবরে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

উপজেলার লালপুর ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বালিতিতা ইসলামপুরের গ্রাম পুলিশ এসকেন আলী। তার বাবা ওই এলাকার মৃত আকবর আলী মণ্ডল।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) যাচাই-বাছাই শেষে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন নাটোর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে এসকেন আলী বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী সব কাগজপত্র জমা দিয়েছি, কিন্তু সাড়ে ৩ হাজার ভোটারের স্বাক্ষর জমা দিতে হবে এটা জানা ছিল না। তৃতীয় শ্রেণিতে ওঠার পর বাবা মারা যান। সংসারের হাল ধরতে গিয়ে আর পড়াশোনা করা হয়নি। যে কোনো ভোট এলে খুব আনন্দ লাগে। অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছে করে। এর আগে দুবার ইউপি সদস্য পদে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। ইউপি নির্বাচনের খরচ মেটানোর জন্য একটি গরু বিক্রি করতে হয়েছিল।’

এসকেন আলী বলেন, ‘প্রায় ২০ বছর আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট করার পরিকল্পনা করেছিলাম। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে এ বছর নির্বাচন করার জন্য বাড়ির পাশের এক কাঠা জমি আড়াই লাখ টাকায় বিক্রি করেছি। মনোনয়ন ফরম তুলে ভোটের কাজ শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত ৩৬ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আমার আর এক কাঠা জমি অবশিষ্ট আছে।’

রিটার্নিং কর্মকর্তা আবু নাছের ভূঁঞা বলেন, কোনো এলাকায় নির্বাচন করতে হলে সে এলাকার মোট ভোটার সংখ্যার এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর পূরণ করে জমা দিতে হবে। নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনে এক শতাংশ ভোটার সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৪৯৪ জন। কিন্তু এসকেন আলী মাত্র ৯৮০ জনের স্বাক্ষর জমা দিয়েছেন। তাই নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী শর্তপূরণ করতে না পারায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন