হোম খুলনাযশোর মনিরামপুর শ্যামকুড় যমযমিয়া দাখিল মাদ্রাসায় বিতর্কিত ব্যক্তিকে সভাপতি, ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী

মনিরামপুর শ্যামকুড় যমযমিয়া দাখিল মাদ্রাসায় বিতর্কিত ব্যক্তিকে সভাপতি, ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 85 ভিউজ

মনিরামপুর (যশোর)প্রতিনিধি:

যশোরের মনিরামপুরে বিতর্কিত ব্যক্তি (যুবলীগ কর্মী) আহমাদুল্লাহ রাজুকে শ্যামকুড় যমযমিয়া দাখিল মাদ্রাসার এডহক কমিটির সভাপতি করায় সুপার আবদুল মোত্তালিব বিএনপিসহ এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়েছেন। অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় অভিভাবক এবং শিক্ষকদের মতামত উপেক্ষা করে সুপারের জোগসাজসে যুবলীগ কর্মী আহমাদুল্লাহ রাজুকে সভাপতি করার খবর জানাজানি হবার পর অভিভাবকসহ এলাকাবাসীর মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে শতাধিক ব্যক্তি গণস্বাক্ষর করে আবেদন করা করা হয়েছে। এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার সকালে প্রতিষ্ঠানে বিতর্কিত সভাপতি আহমাদুল্লাহ রাজুকে বাতিলের দাবী করে এলাকাবাসীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে।

এলাকাবাসী ও মাদ্রাসা সূত্রে জানা যায়, শ্যামকুড় যমযমিয়া দাখিল মাদ্রাসার এডহক কমিটি গঠনের জন্য ভারপ্রাপ্ত সুপার আবদুল মোত্তালিব গত এপ্রিল মাসে অভিভাবক এবং শিক্ষকদের নিয়ে সভা করেন। সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে স্থানীয় আব্দুল মমিন ও হাফিজুর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে সভাপতি করার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে ভারপ্রাপ্ত সুপার আবদুল মোত্তালিব অভিভাবক এবং শিক্ষকদের মতামতকে উপেক্ষা করে স্থানীয় যুবলীগ কর্মী আহমাদুল্লাহসহ তার পছন্দের একটি প্যানেল ২০ এপ্রিল বাংলাদেশ মাদ্রাসা বোর্ডে প্রেরণ করেন অনুমোদনের জন্য। সে মোতাবেক মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারম্যানের পক্ষে রেজিষ্ট্রার ছালেহ আহমাদ ৪ জুন আহমাদুল্লাহকে সভাপতি, নুরুজ্জামানকে শিক্ষক প্রতিনিধি, আবু আব্দুল্লাহকে অভিভাবক সদস্য এবং সুপারকে সদস্য সচিব করে চার সদস্যের এডহক কমিটি অনুমোদন দেন। আর এ বিষয়টি জানাজানি হলে অভিভাবকসহ এলাকাবাসী ফুঁসে উঠে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক মাহাবুর রহমান ও বিএনপির নেতা সাবেক ইউপি সদস্য ফজলুর রহমান জানান, কমিটি সভাপতি বাতিলের জন্য শনিবার সকালে প্রতিষ্ঠানে যাওয়া হয়। এ সময় সুপার আমাদের কাছ থেকে ১৫ দিন সময় নিয়েছেন। সুপার কমিটি বাতিল করা না হলে আমরা মাদ্রাসা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবো। তাদের অভিযোগ, বিগত ফ্যাসিষ্ট সরকারের আমলে যুবলীগ ক্যাডার হিসেবে আহমাদুল্লাহ রাজুর নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা অবৈধভাবে বুঝতলার আবদুল বারীকের জমি দখল করেন। সেই ক্যাডারকে মাদ্রাসার সভাপতি করায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম এ ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
তবে এ ব্যাপারে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার আবদুল মোত্তালিব বলেন, মাদ্রাসার স্বার্থে সভাপতি করতে হাফিজুর রহমান, আবদুল মোমিন এবং আহমাদুল্লাহ রাজুর নাম পাঠানো হয়েছিল বোর্ডে। কিন্তু বোর্ড কর্তৃপক্ষ হাফিজুরের পরিবর্তে আহমাদুল্লাহকে সভাপতি করে চার সদস্যের এডহক কমিটির অনুমোদন দেন। তাছাড়া উপজেলা পর্যায় বিএনপির এক সিনিয়র নেতার পরামর্শে এ কাজটি করতে হয়েছে বলে দাবী করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত তামান্না জানান, বিষয়টি সমাধানের জন্য মাদ্রাসা বোর্ড কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন