মনিরামপুর(যশোর)প্রতিনিধি:
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে যশোরের মনিরামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি জনপ্রিয় নেতা অ্যাডভোকেট ইকবাল হোসেনের বিরুদ্ধে একটি কুচক্রি মহল গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাকে হেয় করতে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে এসব ষড়যন্ত্রের বিষয় পাত্তা দিচ্ছেননা শহীদ ইকবাল । বিএনপির নেতাকর্মীরা বলছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রপাগন্ডা করে গণমানুষের মন থেকে শহীদ ইকবালকে বিচ্ছিন্ন করা যাবেনা। এমনটি জানা গেছে এলাকার বিভিন্ন নেতাকর্মীর সাথে আলাপ করে। অনুসন্ধানে জানাযায়, বিগত ১৯৯১ এবং ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর- ৫(মনিরামপুর) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল হোসেন। কিন্ত সামান্য ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট খান টিপু সুলতানের কাছে তিনি পরাজিত হন।
পরবর্তিতে ২০০২ সালে বিএনপির কাউন্সিলে সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ মুছাকে পরাজিত করে শহীদ ইকবাল হোসেন সভাপতি নির্বাচিত হন। সেই থেকে শহীদ ইকবাল হোসেন তৃনমূল থেকে শুরু করে দলের ভীত শক্তিশালী করেন। সামাজিক কর্মকান্ডেও তিনি পিছিয়ে নেই। নেতাকর্মীদের সুখে দু:খে তিনি সব সময় অঙ্গাঙ্গীনভাবে জড়িত রয়েছেন।২০০৪ এবং ২০১০ সালে পৌরসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে মেয়র নির্বাচিত হন তিনি । কিন্তু আওয়ামী ফ্যাসিষ্টরা পর পর দুইটি নির্বাচনে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে তাকে পরাজিত করেন। তিনি মরনব্যাধী ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার পরও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সম্মুখে নেতৃত্ব দিয়ে দলের ভেতর নিজের অবস্থান আরো সুদৃঢ় করেন। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শহীদ ইকবালের বিরুদ্ধে প্রায় অর্ধশতাধীক মামলা হয়। কয়েকবার কারা বরনও করতে হয়েছে তাকে।
কিন্তু দলের ব্যাপারে কোন আপোশ করেননি তিনি । ফলে ইতিমধ্যে নেতাকর্মী সমর্থকসহ সাধারন মানুষের মন জয় করেন বর্নাঢ্য এ রাজনীতিক শহীদ ইকাবল হোসেন। তিনি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সংকল্প নিয়ে রাত-দিন কাজ করে চলেছেন। এরই মধ্যে তিনি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সর্বশেষ গত ফেব্রুয়ারিতে তিনি পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হন। কুলটিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হামিদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, শহীদ ইকবালের জনপ্রিয়তায় ঈর্শ^ান্বিত হয়ে একটি কুচক্রি মহল তার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছেন। খেদাপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক আজিবর রহমান জানান, সম্প্রতি একটি চক্র শহীদ ইকবালের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক চাঁদাবাজিসহ কল্পকাহিনী সাজিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করেন। ঝাপা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক মফিজুর রহমান জানান, ষড়যন্ত্রকারীরা অপপ্রচার করে শহীদ ইকবালের জনপ্রিয়তায় কোনপ্রকার চিড় ধরাতে পারেনি। বরং জনপ্রিয়তা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহীদ ইকবাল হোসেন এসব ষড়যন্ত্রকে আমলে না নিয়ে জানান, সারাজীবন তিনি মানুষের জন্য রাজনীতি করে চলেছেন। মানুষের কল্যানে সব সময় অগ্রনি ভুমিকা পালন করে চলেছেন। ফলে ষড়যন্ত্র করে মানুষের মন থেকে তাকে বিচ্ছিন্ন করা যাবেনা। জনগনই এসব ষড়যন্ত্রকারীদের জবাব দিবে।