হোম খুলনাযশোর মনিরামপুরে গৃহবধূর যমজ তিন পুত্র সন্তানের জন্মলাভ!

মনিরামপুরে গৃহবধূর যমজ তিন পুত্র সন্তানের জন্মলাভ!

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 101 ভিউজ

রিপন হোসেন সাজু:

যশোরের মনিরামপুরে পল্লীতে ডলি খাতুন নামে এক গৃহবধু একই সাথে তিন পুত্র সন্তানের জন্মলাভ করেছে। গৃহবধু ডলি উপজেলার শ্যামকূড় ইউনিয়নের হালসা গ্রামের আব্দুস সামাদ মোল্যার ছেলে বাবলুর রহমানের স্ত্রী। এই দম্পতির ১৬ বছরের বৈবাহিক জীবনে বুশরা খাতুন (১৪) ও মুতাসিমবিল্যাহ(১০) নামে দু’টি সন্তান রয়েছে। স্থানীয় মাদরাসায় বুশরা অষ্টম শ্রেণিতে আর মুতাসিমবিল্যাহ ৩য় শ্রেণিতে পড়াশুনা করছে। চার সদস্যের পরিবার নিয়ে দরিদ্র দিনমজুর বাবলুর রহমান বেশ ভালহালেই জীবনজীবিকা পার করছিলেন। এরই মধ্যে প্রায় ১০ বছর বিরতির পর তার স্ত্রী সন্তান সম্ভবা হন। গর্ভে সন্তান সম্ভবা হওয়ার পর থেকে স্ত্রী ডলি খাতুন শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিৎসকের চেকআপে ধরা পড়ে তার গর্ভে তিনটি সন্তান রয়েছে। সেই হতে স্ত্রীর প্রসুতি পর্যন্ত চিকিৎসা ও নিয়মিত চেকআপ অব্যাহত রাখা ও স্ত্রীর পুষ্টির যোগান দিতে দিনমজুর বাবলুকে হিমসিম খেতে হয়েছে। অবশেষে গত ৭ এপ্রিল খুলনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশানের মাধ্যমে গৃহবধু ডলি খাতুন তিনটি যমজ পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। অপুষ্টি ও স্বল্প ওজন নিয়ে জন্ম নেওয়া বাচ্চাদের ৮দিন রাখা হয় হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) রাখা হয়। এই ধরনের একটি ব্যয় বহুল ডেলিভারীতে আড়াই লাখ টাকা খরচা হয়েছে এবং শেষ সম্বল বলতে বাড়ীতে পালিত গরু-ছাগল বিক্রি করে ও ধার দেনা করে ব্যয় নির্বাহ করেছেন বলে জানান বাবলুর রহমান। তিনি এ প্রতিনিধিকে আরও জানান, দুই সন্তানের পর তাদের ঘরে তৃতীয় সন্তানের কোন আশা করেননি। তবুও একইসাথে তিনটি পুত্র সন্তান তাদের সংসারে জন্মলাভ করায় আমরা সবাই খুবই খুশি হয়েছি। তাদের পরিবারে আনন্দ দেখে মনে হয়েছে ভাঙ্গা ঘরে এ যেন তিনটি চাঁদের টুকরো। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) তিন প্রিয় সাহাবীর নামে যথাক্রমে তিন সন্তানের নাম রাখা হয়েছে মোহাম্মাদ আলী, মোহাম্মাদ ওমর ও মোহাম্মাদ ওসমান। ওরা এখন সবাই সুস্থ আছে। কিন্তু ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বাচ্চাদের মুখের আহার প্রিবায়োমিন নামের গুড়া দুধ (৪০০ গ্রামের প্যাকেট) ১০৫০ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে। যা তিন সন্তানের মাত্র দেড় দিন হচ্ছে। এই ব্যয়বহুল গুড়া দুধ কিনতে যেয়ে তিনি আর্থিক সংকটে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। বাবলু তার ফুটফুটে বাচ্চাদের যাতে কোন খাবারের তঞ্চকতা না হয় সে জন্য দনিরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। অবসর সময়ে বাড়তি আয় করার জন্য স্থানীয় বাজারে দোকান দিয়ে নরসুন্দরের কাজ করছেন। কাজ-কাম কম থাকায় প্রতিদিন যা আয় হয় তা দিয়ে সংসারের নিত্য চাল-ডাল,মাছ,তরকারি কিনে বাচ্চাদের দুধ কেনার টাকা যোগাড় করতে তাকে হিমসিম খেতে হচ্ছে। ফুটফুটে তিনটি পুত্র সন্তান ও বড় দুই ছেলে মেয়ের পড়াশুনার খরচ চালাতে তাই দরিদ্র অসহায় পিতা বাবলুর রহমানের পাশে দানশীল মানবিক ধনাঢ্য ব্যক্তি কিংবা সরকারী-বে-সরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মানবিক সহায়তা দানের জন্য বিনীত আবেদন জানিয়েছেন অসহায় এই পরিবারটি। আর্থিক সহায়তা পাঠানোর বিকাশ নং -০১৭৮৬-৪৫১৯১৯ ( বাবলুর রহমানের নিজস্ব) ।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন