রিপন হোসেন সাজু, মনিরামপুর (যশোর) :
প্রতিবেশি প্রভাবশালী জামাই বুলবুল আহম্মেদ বুলির কাছে জমি বিক্রি না করায় তিন মেয়ে নিয়ে বসবাস করা দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। জমিতে কাজ করতে গেলেই তাদের উপর চালানো হয় শারীরিক নির্যাতন। থানায় অভিযোগ করলেও প্রতিকার মিলছে না। উপরোন্ত তাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।
বুধবার মনিরামপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগি তাসলিমা বেগম। তার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফারজানা আক্তার। তাসলিমা পৌর এলাকার দূর্গাপুর গ্রামের মৃত সাখাওয়াত হোসেনের স্ত্রী। সাখাওয়াত হোসেন স্থানীয় ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন।
তাসলিমা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, তার স্বামী মারা যাওয়ার পর তিন মেয়ে নিয়ে দূর্গাপুর গ্রামে ১১ শতক জমির উপর বসবাস করে আসছেন। ওই জমির উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে প্রতিবেশি প্রভাবশালী বুলবুল আহম্মে বুলির। বুলি কয়েকবার তার জমি কেনার জন্য তাকে প্রস্তাব দেয়। কিন্তু বসবাসের আর কোন জমি না থাকায় তাসলিমা জমি বিক্রি করতে চাননি। এরপর থেকে নানা ভাবে তাদের উপর নির্যাতন করা হচ্ছে।
তিনি লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, বুলি কয় বছর আগেও ভাড়ায় মোরসাইকেল চালাতেন। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যে তার অবস্থার আমুল পরিবর্তন হয়েছে। দূর্গাপুর গ্রামে বুলির রয়েছে আলিশান বাড়ি, চড়েন দামি প্রাইভেটে। এখন বুলি কোটিপতি বনে গিয়ে ধরাকে সরা জ্ঞান করেন। টাকার জোরেই আজ সব কিছুই তার হাতের নাগালে। বুলিল নেতৃত্বে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা গত ১৮ জানুয়ারি বসতবাড়ি জবর দখলের চেষ্টাকালে বাঁধা দেওয়ায় তাসলিমা ও তার মেয়েদের মারপিট করা হয়।
এ নিয়ে থানায় অবিযোগ করলেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উপরোন্ত তাদের বিরুদ্ধে বুলির দায়েরকৃত মিথ্যা মামলায় হয়রানি করা হচ্ছে। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে মেয়েদের নিয়ে নিরাপদে নিজ জমিতে বসবাসের জন্য সহযোগিতা কামনা করেছেন। এ বিষয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আদম আলী জানান, এ নিয়ে কয়েকবার পৌরসভার মাধ্যমে শালিস করা হলেও বুলি মানেনি। আসলেই ভুক্তভোগি তাসলিমাসহ তার মেয়েরা নিরাপত্তাহীনতায় আছেন।