হোম খুলনাযশোর মনিরামপুরের খরস্রোতা মুক্তেশ্বরী নদী কচুরিপানায় ভরা এক মৃতপ্রায় নদী

মনিরামপুরের খরস্রোতা মুক্তেশ্বরী নদী কচুরিপানায় ভরা এক মৃতপ্রায় নদী

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 114 ভিউজ

রিপন হোসেন সাজু, মনিরামপুর (যশোর):

খরস্রোতা মুক্তেশ্বরী নদী এখন যেন কচুরিপানায় ভরা এক মৃতপ্রায় নদীতে পরিণত হয়েছে। মনিরামপুরের কুলটিয়া ও নেহালপুর ইউনিয়নের উপর দিয়ে ৩ কিলোমিটার বয়ে গেছে এই নদী। শনিবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নদীর এই অংশসহ পুরো নদীটি এখন কচুরিপানা, আবর্জনা ও দখলদারদের কবলে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সূত্রমতে জানা যায়, মুক্তেশ্বরী নদীটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমা লের যশোর জেলায় বিস্তৃত। নদীটির দৈর্ঘ্য ৪০ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৪২ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি অনেকটা সর্পিলাকার। যশোরের চৌগাছা উপজেলার জগদীশপুর বাঁওড়ের পাশ দিয়ে সলুয়া বাজার সংলগ্ন এলাকা হয়ে যশোর সদর উপজেলার আরবপুর ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মনিরামপুর উপজেলার কাশিমননগর ইউনিয়নের বাদিয়াতলা বিলাঞ্চল হতে উৎপত্তি লাভ করেছে।

অতঃপর এই নদীর জলধারা যশোর সদর উপজেলা পেরিয়ে মনিরামপুরের ঢাকুরিয়া, হরিদাসকাটি, কুলটিয়া ও নেহালপুর ইউনিয়ন হয়ে অভয়নগরের শ্রী-হরি নদীতে মিশেছে। নদীটির বেশ কিছু অঞ্চল শুষ্ক মৌসুমে পানিশুন্য অবস্থায় থাকে। তবে বর্ষাকালে এই নদীই ভবদহ অ লের কাল হয়ে দাড়ায়। যশোর জেলার ২৭ বিলের পানির বেশিরভাগ এই নদী দিয়েই ভাটি অ লে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করে। যার ফলে উক্ত বিল পাড়ের মানুষেরা মানবেতর জীবন যাপনে বাধ্য হয়।

বর্তমানে অপরিকল্পিতভাবে ব্রীজ ও স্লুইচগেট নির্মাণ, মৎস্য ঘেরের ভেড়িবাঁধ তৈরি, নদীতে মাছ ধরার জন্য অবৈধ পাটা দেয়ার কারণে স্বাভাবিক পানি প্রবাহ ব্যাহত হচ্ছে। যে কারণে নদীতে ভেসে আসা আবর্জনা ও কচুরিপানা বছরের পর বছর জমে স্তুপকৃত হয়ে নদী শ্রী হারিয়ে মৃতপ্রায় হয়ে গেছে। এখন নদীটিকে দেখলেই মনে হয় এটি যেন কচুরিপানার নদী।

নদী তীরে বসবাসকারী কুলটিয়া ইউনিয়নের লখাইডাংগা গ্রামের সমর মন্ডল জানান, কত বছর ধরে নদী পরিষ্কার নেই সেটি তার মনে নেই। মাঝে মধ্যে মনিরামপুর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নদী পরিষ্কারের ব্যবস্থা নিলেও কোন রকমে দায়সারা গোছের কাজ করা হয়ে থাকে। অল্প কিছুদিনের মধ্যে আবার কচুরিপানায় ভরে যায়। সমর মন্ডলের মতো ওই অঞ্চলের অনেকেরই দাবী ভবদহের জলাবদ্ধতা দূরীকরণে সর্বপ্রথমে পানি নিঃষ্কাশিত হওয়ার সমস্ত নদী-খাল মৃতপ্রায় অবস্থা থেকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে এবং সেগুলো যথাযথ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন