মনপুরা (ভোলা) প্রতিনিধি :
ভোলার মনপুরা মৎস্য অফিস এর ব্যানারে আওয়তা দেখা যায়,১নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত দেশে ১০ ইঞ্চি সাইজের ইলিশ, যা জাটকা নামে পরিচিত, ধরা পুরোপুরি নিষিদ্ধ। এ সময়ের মধ্যে জাটকা ধরা, বিক্রি, মজুদ ও পরিবহন করলে সর্বোচ্চ দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড বা ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত করার বিধান রয়েছে।
তবে এই আইনের কোন প্রয়োগ হচ্ছে না মনপুরা মেঘনা নদীতে।মনপুরার ঘাট গুলোতে বহিরাগত জেলে ও স্থানীয় জেলেরা শত শত মন জাটকা ইলিশ অবাধে বিক্রি করছেন।জেলেরা বলছেন প্রশাসন কে টাকা দিয়ে তারা এই নিষিদ্ধ জাল দিয়ে ইলিশ শিকার করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মনপুরা সংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে প্রতিনিয়ত জেলেরা জাটকা ধরে আড়ত ও হাট-বাজারে বিক্রি করছেন। তাছাড়া লঞ্চ যোগে ঢাকা, নোয়াখালী, ভোলা ও বরিশালের বাজারে প্রতিনিয়ত ইলিশের পাশাপাশি জাটকা নিয়ে যাচ্ছে ব্যবসায়ীরা।
উপজেলার হাজির হাট বাজার, রামনেওয়াজ বাজার, ফকির হাট, বাংলা বাজার, মাষ্টার হাট, কোড়ালিয়া বাজারসহ ছোট বড় হাট-বাজারে এই জাটকা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য বিভাগ বা প্রশাসনের কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি।
গতকাল সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,আবদুর রব মাঝি মেঘনা থেকে ২৭ পোন জাটকা ইলিশ শিকার করে ঘাটে আসেন। ৮০ টা মাছ মাত্র বিক্রয় হচ্ছে ২৪০০ শত টাকা। মাছ বিক্রয়ের পর মাজির সাথে কথা হলে তিনি জানান,বড় ইলিশ হলে এর দাম হতো ৩০ হাজার টাকা।
তবে এমন চলতে থাকলে আগামী মৌসুমে ইলিশ শূন্য হবে মেঘনা । নির্ধনকৃত এসব নিষিদ্ধ জাটকা প্রকাশ্যে উপজেলার বিভিন্ন ঘাটে বিক্রি হচ্ছে। অবাধে জাটকা ইলিশ নির্ধন চললেও মৎস্য বিভাগ, উপজেলা প্রশাসন ও কোস্টগার্ডের তেমন ভূমিকা না থাকায় জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় সচেতনমহল বলছেন, প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকলে এভাবে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল দিয়ে অবাধে জাটকা ইলিশ শিকার করা সম্ভব নয়। মনপুরা উপজেলা প্রায় লক্ষাধিক জেলের বসবাস। চলতি বছরের নভেম্বর -জুন পর্যন্ত নদীতে জাটকা ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার। সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জেলেরা জাটকাসহ বিভিন্ন জাতের মাছ শিকার করছে অবাধে।
নাম মাত্র অভিযান পরিচালনা করেন মৎস্য কর্মকর্তা, এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ভিক্টর বাইন জানান, মৎস্য সম্পদ রক্ষায় আমাদের জাটকা বিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আমাদের লোকবল সংকট এবং অভিযানে যাওয়ার মত কোন ব্যবস্থা নেই, কোষ্ঠগার্ড এর সাথে অভিযান পরিচালনা করতে হয় আমাদের।
কোষ্ঠগার্ড মনপুরা প্রধান পেটি অফিসার মোঃ সাজু জানান নিষিদ্ধ জাটকা ইলিশ অভিযান আমাদের চলমান, উপরের নিদেশে আমরা রাতে জাটকা অভিযানে যায় না।
জাটকা অভিযান নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামিম মিঞার সাথে কথা হলে তিনি জানান, নিয়মিত জাটকা ইলিশ অভিযান চলে তবে মৎস্য অফিসে জনবল সংকট ও নৌযান নেই, মনপুরার চারপাশে রয়েছে মেঘনা নদী এখানে মৎস্য অফিসে সব সময়ের জন্য প্রয়োজন একটি দ্রুতগামী স্পীড বোর্ড।
