হোম অন্যান্যসারাদেশ মনপুরার নিরীহ মানুষের উপর ভূমিদস্যু ফারুক মাস্টারের আক্রমণ, আহত-১

মনপুরা (ভোলা) প্রতিনিধি:

মনপুরা উপজেলার ভূমিদস্য ফারুক মাস্টারের নেতৃত্বে কাজীর চরের নিরীহ মানুষের উপর হামলা, গুরুতর আঘাত নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর কার্যালয়ে সমনের রাস্তায় ফারুক মাষ্টার এর বাহিনীর তাণ্ডব। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে কাজী চরের বাসিন্দাদের মধ্যে খাস জমি বন্দোবস্ত পাওয়ার জন্য ভোলা জেলা প্রশাসক (ডিসি) বরাবর আবেদন করেন কাজী চরের বাসিন্দাদের মধ্যে মাসুদ নামের এক ব্যক্তি।

তিনি উল্লেখ করেন, আমরা যারা ২০ থেকে ২৫ বছর কাজির চরে বসবাস করে আসছি। দীর্ঘদিন বসবাসকারী কাজির চরের কোন বাসিন্দা খাস জমি বন্দোবস্ত পাই নাই।

কাজীর চরে আমাদের বাড়িঘর ও ফসলী জমি অন্যের নামে বন্দোবস্ত করেছে টাকার বিনিময়ে। যারা ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছে তাদের নামে জমি বন্দোবস্ত হয়েছে অথচ তারা কোন জায়গায় কাজির চর তাই চিনি না। তারা সবায় উপজেলা সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা। গত ১০ই মে ২০২৩ তারিখে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি আবেদন করেন, জেলা প্রশাসক মনপুরা উপজেলা সার্ভেয়ারের বরাবর প্রেরণ করেন, সরজমিনে পরিদর্শন করেন, সঠিক তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করতে বলা হয়।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাঁর অফিসে শুনানির তারিখ ধার্য্য করেন পাঁচই অক্টোবর ২০২৩।

কাজিরচরের বাসিন্দাদের মধ্যে একজন যখন নির্বাহী অফিসারের অফিসের দিকে যাচ্ছে হাজিরা দিতে তখনই ফারুক মাস্টারের নেতৃত্বে তার সহদর ভাই সহ আরো কয়েকজন হেলাল ফরাজী নামে একজনকে এলোপাথাড়ি মারতে থাকে একপর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে যায়, এদের ভয়ে কেউ ধরতে ও আসে নাই, এক পযার্য়ে এক পদযাত্রী তাকে নিয়ে হসপিটালে যাই, এ বাহিনীর ভয়ে আর কোন নিরীহ মানুষ হাজিরা দিতে আসে নাই।

শুনানিকে বাধাগ্রস্থ করতে ফারুক মাস্টারের বাহিনী প্রকাশ্যে আতঙ্ক তৈরি করতে দিবালোকে নিরীহ মানুষের উপর হামলা করে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় হুমকি ধামকি ও নিরীহ মানুষের উপর হামলা করে নিরাপত্তা কোথায়? কোর্টে কি মানুষ নিরাপদ নয়?

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি কোন মতামত দিতে চান নাই।

বাদী মাকসুদ জানান, আমরা চাই সঠিক তদন্তের স্বার্থে কাজির চরে এই তদন্তটা হোক, মানুষ কতটা অসহায় দুঃখ কষ্ট নিয়ে চরে বসবাস করে তারা যেন খাস জমি বন্দোবস্ত পাই।

মনপুরা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আবু সালেহ মোঃ ইদ্রিস জানান, রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে তার কিছু নীল জখম পেয়েছি, নাক ও পায়ের এবং হাতের এক্সে দিয়েছি।

আহত হেলাল ফরাজী বলেন আমি এর সঠিক বিচার চাই, টাকার বিনিময়ে জমিন পায়, আসল বসবাসকারীরা কাজী চরের জমির বন্দোবস্ত পাই নাই। ভূমি দস্য ফারুক মাস্টারের জন্য।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন