রিপন হোসেন সাজু,মণিরামপুর (যশোর) :
আসন্ন পৌর নির্বাচনে মণিরামপুর পৌরসভার ৩নং (সদর) ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা পোষন করেছেন মণিরামপুর কেন্দ্রীয় দোলখোলা পুজা মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক, পৌর পূজা পরিষদের সহসভাপতি, সংশপ্তক শিল্পী সংগঠনের সহসভাপতি, মণিরামপুর জুয়েলারী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, তরুণ সমাজ সেবক বাবুলাল চৌধুরী।
মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হলে এবং যথা সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়-তবে সে সময়টি হবে চলতি বছরের ডিসেম্বর অথবা ২০২১ সালের জানুয়ারী। সে হিসেবে ২০২০ সালের ডিসেম্বরের প্রথম/দ্বিতীয় সপ্তাহে পৌর নির্বাচনের প্রথম পর্বের নির্বাচনী তফসীল ঘেষিনা হতে পানে। সময়টা যতই ঘনিয়ে আসছে-ততই বাড়ছে ততই সম্ভাব্য প্রার্থীদের নির্বাচনী কর্মতৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সাথে ভোটারদের মধ্যেও নির্বাচন নিয়ে একটা প্রাণচাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিগত নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীদের দেয়া প্রতিশ্রুতি কত টুকু বাস্তবায়ন করেছেন-সেটার হিসেব-নিকেশও শুরু করে দিয়েছেন। সে ক্ষেত্রে মণিরামপুর পৌর নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী বা প্রার্থী হতে ইচ্ছুক এমন অনেকেই তাদের আগমণ বার্তা জানান দিচ্ছেন। সম্ভব্য প্রার্থীরা নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে মরিয়া হয়ে উঠছেন নির্বাচনী এলাকায়।
মণিরামপুর পৌরসভার ৩নং (সদর) ওয়ার্ডের এ তালিকায় এবার প্রবীণ ও তরুণ মিলে সম্ভব্য প্রার্থীর সংখ্যা প্রায় অর্ধডজন। এদের মধ্যে সেরাদের তালিকায় আছেন বাবুলাল চৌধুরী। ইতোমধ্যে তার নামটি এলাকায় সমাধিক উচ্চারিক হচ্ছে। তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে ওয়ার্ডবাসি। তিনি ধারাবাহিক ভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন সমাজ-সামাজিকতা ও সাধারণ ভোটারদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় এবং বিভিন্ন উন্নয়ণমূলক কাজের প্রতিশ্রুতিসহ ওয়ার্ড পরিক্রমায় পরিবর্তন ও মডেল ওয়ার্ড গড়ার প্রত্যয়ের কথা ব্যক্ত করছেন। সর্বোপরি মাদক, দূর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজীর বিরুদ্ধে রুখে দাড়াবার মানুষিকতা নিয়ে-আগামী পৌর সভা নির্বাচনে জনগণের ভালবাসা ও দোয়া নিয়ে সদর ওয়ার্ডকে একটি মডেল ওয়ার্ড গঠনের লক্ষ নিয়েই কাউন্সিলর প্রার্থী হবার ঘোষনা দিচ্ছেন তিনি।
এ ওয়ার্ডের বাসিন্দা কাঠ ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ সাহা জানান, একজন সাদা মনের মানুষ হিসেবে বিভিন্ন সামাজিক ও সেচ্ছসেবি কর্মকান্ডের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকাসহ নিরবিছন্নভাবে এলাকার উন্নয়নে বাবুলাল চৌধুরী অনেক কাজ করেছেন। ফলে এবার ৩নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে অন্যান্য প্রার্থীর তুলনায় জয়ের ব্যাপারে তিনি অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন।পৌর এলাকার একজন পরিছন্ন ও মার্জিত ব্যক্তি হিসেবে যুবসমাজসহ সর্বস্তর মানুষের কাছে একজন প্রিয় মুখ। ৩নং ওয়ার্ডের নিমাই চৌধুরী নামে একজন সাধারণ ভোটার জানান, বাবুলাল চৌধুরী সাধারণ জনগণের মধ্যে একজন স্বচ্ছ ব্যক্তি হিসেবে সমাধিক পরিচিত। সদালাপী, সুমিষ্ট ভাষী আলাপ চারিতায় মুগ্ধ করে অতি অল্প সময়ে দুরের মানুষকে আপন করে নেয়ার সব গুলো তার মধ্যে বিদ্যমাণ।
মুলত: ওয়ার্ডবাসির চাহিদার দিকে লক্ষ রেখেই এই পদে তিনি প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছাপোষন করেছেন। ধর্মীয় অনুভূতিতেও তিনি স্পর্শ কাতর। ধর্মীয় যে অনুষ্ঠানে তার উপস্থিতি চোখে পড়ার মত। সকল ধর্মের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ার কারণে তাকে মণিরামপুর কেন্দ্রীয় দোলখোলা পুজা মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে। এছাড়া সমাজ-সামাজিকতায় তার অবদান অপরিসীম। মণিরামপুর যতগুলো সামাজিক সংগঠন বা সেচ্ছাসেবী সংগঠন রয়েছে সেগুলোর অধিকাংশ গুলোতে তার নিজস্ব একটি অবস্থান রয়েছে। ফলে তার নামটি এবার নবীন-প্রবীণ ভোটারদের হৃদয়ে স্থান করে নিবে বলে আমি করি।
আসন্ন পৌর নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থীর হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বাবুলাল চৌধুরী বলেন, আমার দ্বারা কেউ কখনো ক্ষতি গ্রস্থ হয়নি-হবেও না ছাত্রজীবন থেকে এ এলাকার জনগণের সূখে-দূঃখে পাশে থেকেছি, আগামীতে সর্বক্ষনিক তাদের পাশে থেকে সুখ-দূঃখের অংশীদার হতে আগামী পৌর নির্বাচনে ৩নং সদর (মণিরামপুর) ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী পদে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার বিশ্বাস জনগণের ভালবাসাকে পুঁজি করে আমি জয়লাভ করতে সমর্থ হবো। আমি এলাকার সেবক হতে চাই। মানুষ বেঁচে থাকে তার কর্মে, আমি ভাল কাজ করে-সেই ভালবাসা নিয়েই মানুষের মাঝে বেঁচে থাকতে চাই। মানুষের সেবা করার সুযোগ আমাকে দিবে বলে আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি এবং সে লক্ষে আমি আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। ।