হোম Uncategorized মণিরামপুরে বিদেশ ফেরৎ যুবকের লাশ উদ্ধারের মামলা নেয়নি পুলিশ ।। তদ্বির মিশনে জাপা নেতা

মণিরামপুরে বিদেশ ফেরৎ যুবকের লাশ উদ্ধারের মামলা নেয়নি পুলিশ ।। তদ্বির মিশনে জাপা নেতা

কর্তৃক
০ মন্তব্য 77 ভিউজ

মণিরামপুর( যশোর)প্রতিনিধি:

মণিরামপুরে বিদেশ ফেরৎ যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। নিহতের পরিবার ঘটনাটিকে হত্যা দাবি করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে ধর্ণা দেওয়ার পাশাপাশি মামলা করতে চাইলেও পুলিশ মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয়রা জানান, শ্যামকুড় ইউনিয়নের আমিনপুর গ্রামের বকুলতলা এলাকার মটর শ্রমিক আরজান আলীর ছেলে সেলিম হোসেন সংসারের অস্বচ্চলতা ঘোঁচানোর আশায় ধারদেনা হয়ে পাড়ি জমান লিবিয়াতে। হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান সেলিম ৫/৬ বছর লিবিয়াতে অবস্থান করেন। সেখানে থাকাকালিন রোজগারের টাকা স্ত্রী মঞ্জুয়ারার কাছে পাঠাতো বলে জানায় তার পরিবারের সদস্যরা।

নিহতের পরিবারের সদস্যরা আরোও জানান, বিগত বছর চারেক আগে লিবিয়া হতে বাড়িতে ফিরে এসে সেলিম হোসেন জানতে পারেন, তার পাঠানো টাকা সমুদয় নষ্ট করে ফেলেছে স্ত্রী মঞ্জুয়ারা। এ নিয়ে বাড়ি ফেরার পর থেকেই উভয়ের মধ্যে গন্ডগোল লেগেই থাকতো। এমনকি টাকার কথা জানতে চাইলে সেলিমকে তার স্ত্রী মারধর পর্যন্ত করতো বলে এলাকাবাসি জানায়।
ঘটনার দু’তিন দিন আগে থেকেও সেলিমের সাথে তার স্ত্রীর তুমুল ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে স্ত্রী মঞ্জুয়ারা সেলিমের হাতে কামড় বসিয়ে আহত করে। এর পর ঘটনার আগের দিন ৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় আবারো একই বিষয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরদিন সকালে ভোরে সেলিমের বাড়িতেই সিঁড়ি রুমের মধ্যে তার মরদেহ ঝুলতে দেখে লোকজনকে খবর দেয় তার স্ত্রী মঞ্জুয়ারা।

সেলিমের পরিবারের লোকজনের দাবি, তাকে হত্যার পর লাশ ঝুঁলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচার করতে থাকে তার স্ত্রী। খবর পেয়ে মণিরামপুর থানার পুলিশ সেলিমের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করে।
এদিকে এঘটনায় সেলিমের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে চাইলেও পুলিশ তাদের অভিযোগ গ্রহন করেনি বলে অভিযোগ উঠেছে।

একাধিক সূত্র জানায়, স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি এবং জাতীয়পার্টির এক নেতার মধ্যস্থতায় মণিরামপুর থানার জনৈক পুলিশ কর্মকর্তার সাথে নিহতের স্ত্রী মোটা অংকের লেনদেনের মাধ্যমে সেলিম নিহতের ঘটনা ধামা চাঁপা দিতে অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করেছে থানা কর্তৃপক্ষ।

নিহতের ভাই আলমগীর হোসেন জানান, মণিরামপুর থানায় অভিযোগ দিতে গেলে থানার এএসআই শ্যামল সরকার তাকে মামলা নেওয়া হবে না বলে জানিয়ে চলে যেতে বলেন।

এ ব্যাপারে মণিরামপুর থানার এএসআই শ্যামল সরকার বলেন, এই ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন