মণিরামপুর (যশোর)প্রতিনিধি :
শনিবার সকালে দুই সন্তানের জননী রহস্য জনক ভাবে বিষ পানে আত্নহত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। পরিবারের লোকজন জোর করে বাপের বাড়ির গরু বিক্রি করে নেওয়ায় গোলযোগ করে বিষ পানে আত্নহত্যা করেছে দুই সন্তানের জননী।
জানা যায়্ মণিরামপুর উপজেলার বড়চেৎলা (দশআনি) গ্রামের আবুল হোসেনের গোলাম রসুল একই উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামের নিছার ফরাজির কন্যা রেখা খাতুকে ১৮ বছর পূর্বে বিয়ে করে।
দুই ছেলে সন্তান জম্মের পর তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এরই মাঝে রসুল এক গৃহ বধুর সাথে প্রেমজ সম্পর্ক করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এখানে সংসার কালে নানান নাটকীয় কাহিনী চলে। হামলা মামলার মধ্যে জীবন কাটে রসুলের। শেষমেষ এই স্ত্রী অন্যত্রে চলে গেছে। পরে রসুল তার প্রথম স্ত্রী রেখাকে আবারও বিয়ে করে নিয়ে আসে।
সংসার করার মাঝে স্ত্রী রেখা বাপের বাড়ি থেকে একটা গরু নিয়ে আসে। সেই গরু শ্বশুর, শ্বাশুর ও স্বামী মিলে বিক্রী করে নিয়েছে। এ নিয়ে স্ত্রী রেখা কথা বললে তার উপর সবাই ক্ষেপে যায়। এ সময় স্ত্রী রেখা সহ্য করতে না পেরে শনিবার সকালে বিষ পান করে। এ সময় বাড়িতে সবাই থাকলেও বাঁধা দেয়নি কেউ বলে অভি্যোগ উঠেছে।
পরে স্বামী রসুল ও তার বড় ছেলে ইমরান হোসেন মৃত্যু প্রায় অবস্থায় রেখাকে নিয়ে প্রথমে বাঁকড়ার আলতাফ ডাক্তারের কাছে নিয়ে ওয়াস করে। রোগীর অবস্থা খারাপ হওয়ায় ঝিকরগাছা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেও ভর্তি না নিলে যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর বারটার দিকে মারা যায় বলে জানা গেছে।
রুগীর সাথে থাকা একই গ্রামের ফুলজান জানায়, মৃত্যুর পর রসুল সেখান থেকে চলে আসে। পরে আমিও সেখানথেকে চলে এসেছি। কথা হয়, রসুলের পিতা আবুলের সাথে তিনি বলেন আমি বউমা নিয়ে অনেক যন্ত্রনায় ছিলাম। দীর্ঘদিন ধরে এড়া চলাফেরা করায় আমাদের খুব যন্ত্রনা দিয়েছে। তবে অহেতুক বিষ খাওয়াতে আমি খুব কষ্ট পেয়েছি। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আব্দুস সাত্তার জানায়, মৃুত্যুর ঘটনায় ইউডি মামলা হয়েছে। ঝাঁপা ফাঁড়ি পুলিশ নিহতের বাড়ি এসে প্রাথমিক তদন্আত করেছেন ও আগামী কাল ময়না তদন্ত শেষে হাসপাতাল থেকে লাশ বাড়িতে আনা হবে।