হোম অন্যান্যসারাদেশ মণিরামপুরে কৃষকের জমি দখল করে সড়ক নির্মান

মণিরামপুরে কৃষকের জমি দখল করে সড়ক নির্মান

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 172 ভিউজ

মণিরামপুর (যশোর)প্রতিনিধি :

যশোরের মণিরামপুরে কৃষকের পুকুরপাড়ের তিন শতক জমি দখল করে পাকা সড়ক নির্মানের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে সড়কের নির্ধারিত সরকারি জমি থাকলেও ঠিকাদার স্থানীয় কৃষক মীর নওশের আলীর তিনশতক জমি দখলের পর পাকা সড়ক নির্মানকাজ শুরু করেছেন।আর এ কাজটি দেখভাল করছেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর(এলজিইডি)। ফলে কৃষক মীর নওশের আলী তার জমি ফেরত পেতে জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। কিন্তু এ ব্যাপারে এখনও কোন প্রতিকার করা হয়নি। বরং অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেয়ায় ঠিকাদার ওই জমির মালিক নওশের আলীকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাযায়, চলতি অর্থ বছরে সরকার খুলনা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতাধীন মনিরামপুর উপজেলার রোহিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে রোহিতা বাজার পর্যন্ত মোট দুই কিলোমিটার (২২০ মিটার) কাঁচা সড়কটি পাকাকরনের জন্য এক কোটি ৯৪ লাখ টাকা বরাদ্দ করে। সে মোতাবেক স্থাণীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর(এলজিইডি) থেকে টেন্ডার আহবান করা হয়। টেন্ডারে কাজটি পান ঝিনাইদহ জেলার ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ইমন এন্টারপ্রাইজের মালিক আলতাফ হোসেন।

গত মার্চ মাসে ঠিকাদারকে ওয়ার্কওর্ডার দেওয়া হয়। সে মোতাবেক ঠিকাদার ইতিমধ্যে সড়কের কাজ শুরু করেছেন। কিন্তু রোহিতার কৃষক মীর নওশের আলীর অভিযোগ সড়কের জন্য সরকারি জমি নির্ধারিত থাকলেও তার ব্যক্তিমালিকানাধীন পুকুরপাড়ের তিন শতক জমি দখলের পর সড়ক নির্মান শুরু করেছেন ঠিকাদার। তিনি বাধা দিলেও ঠিকাদার কর্নপাত না করে নির্মানকাজ চলমান রেখেছেন। ফলে নওশের আলী প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন।

এ ব্যাপারে জানার জন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইমন এন্টারপ্রইজের মালিক আলতাফ হোসেনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর অফিস থেকে জানাযায়, এ কাজটি ইমন এন্টারপ্রাইজের নামে থাকলেও মূলত: বাস্তবায়ন করছেন মনিরামপুরের সিদ্দিকুর রহমানসহ কয়েকজন ঠিকাদার। তারা ইমন এন্টারপ্রাইজের কাছ থেকে কাজটি ক্রয়(নেগোশিয়েসন) করেন। স্থানীয় ঠিকাদার সিদ্দিকুর রহমান জানান, দীর্ঘদিন ধরে ওই সড়ক দিয়ে(নওশের আলীর পুকুর পাড়) জনসাধারন চলাচল করে আসছে। ফলে ওই স্থানে পাকা করনের কাজ শুরু করা হয়েছে।

তবে তিনি জানান, মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে যতদুর সম্ভব নওশের আলীর পুকুরপাড়ের জমি বাদ দিয়ে নির্মান করা হবে। অবশ্য রোহিতা ইউপি চেয়ারম্যান আবু আনসার সরদারও নওশের আলীর পক্ষে সুপারিশ করে জানান, সড়কের মূল(সরকারি) জমি রয়েছে স্থাণীয় ইউনুচ আলী নামে এক ব্যক্তির দখলে। সরকারি জমি ছেড়ে দিতে বার বার অনুরোধ করা হলেও তিনি আমলে নেননি। এ ব্যাপারে কথা হয় উপজেলা প্রকৌশলী(এলজিইডি) রবিউল ইসলামের সাথে। তিনি জানান, জমি নিয়ে স্থানীয়ভাবে মিমাংশা করা হলে সড়কের স্থান পরিবর্তন করা সম্ভব।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হোসেন জানান, ইতিমধ্যে অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করতে উপজো প্রকৌশলীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন