রিপন হোসেন সাজু, মণিরামপুর (যশোর) :
মনিরামপুর করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারি বিধি-নিষেধ মানতে ফের মাঠে নেমেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর পিতা কাজী মাহমুদুল হাসান। মঙ্গলবার থানার ওসি,উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান, পৌর কাউন্সিলদের সাথে নিয়ে জনচতেনতা সৃষ্টিতে তিনি পৌরশহরের বিভিন্ন স্থানে জনসংযোগ করেন।
এসময় তিনি ব্যবসায়ী, পথচারীসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে কথা বলেন। করোনার ভয়াবহতার চিত্র তুলে ধরে তাদেরকে বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হওয়ার অনুরোধ করেন। এদিন সকাল থেকে দুপুর অবধি পৌর শহরের প্রধান প্রধান বাজারে জনসংযোগসহ পুলিশি চেক পোস্টে গিয়ে বিনা প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে আসা নানা শ্রেণি-পেশার জনতাকে দাড় করিয়ে করোনার ভয়াভহতা সম্পর্কে অবহিত করা হয়।
এদিকে উপজেলার ২৪শ’ ৮৯ জনের করোনা নমুনা পরীক্ষায় ৮শ’২২ জন সনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শুভ্রারানী দেবনাথ। করোনা রোগীর মধ্যে চিকিৎসাধীন আছেন ১শ’১৩ জন। এরমধ্যে হাসপাতালে ৯ জন এবং বাড়িতে ১০৪ জন চিকিৎসাধীন আছেন। মঙ্গলবার ৩০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১১ জনের শরীরে করোনা পজেটিভ সনাক্ত হয়েছেন।
অপরদিকে সিনোফার্মের টিকার প্রথম ডোজ গ্রহন করেছেন ৩৬৯০ জন। এর আগে অক্সফোর্ডের টিকা ১৬ হাজান জন গ্রহন করেছেন। বিভিন্ন মহলের অভিযোগ, উপজেলার গ্রামাঞ্চলের মানুষ সরকারি নিদেশনা মানছেন না। পৌরশহরের কাঁচা বাজার, মাছ বাজারসহ মুদি দোকান সকাল থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত খোলার নির্দেশনা থাকলেও সিংহ ভাগ ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের একটি সার্টারের তালা খুলে রেখে বন্ধের ভাব দেখিয়ে মালিক/কর্মচারী বাইরে দাড়িয়ে থেকে প্রশাসনকে ধোকা দিচ্ছে।
ক্রেতা আসলেই সার্টার উচু করে ভিতরে নিয়ে ফের বন্ধ করে ক্রেতার ইচ্ছা অনুযায়ী পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তের হাটাবাজার ও মোড়ের অবস্থা আরও নাজুক। সেখানে লকডাউনের কিছইু মানা হচ্ছে না। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে মোড়ের চায়ের দোকানে চলছে জম জমাট আড্ডা।পৌর মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসান বলেন, করোনার ভয়াবহতা তুলে ধরে সর্বস্তরের মানুষকে ঘরে রাখতেই এ জনসংযোগ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন থানার ওসি রফিকুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু, প্যানেল মেয়র-৩ আব্দুল কুদ্দুস, কাউন্সিলর বাবুলাল চৌধূরী, সুমন দাস প্রমূখ।