হোম আন্তর্জাতিক ভয়ংকর পথে ঝড়ছে বহু প্রাণ, তবুও থামছে না স্বপ্নযাত্রা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

ইউরোপে মানবপাচারের নতুন রুট হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে আলবেনিয়া। সিরিয়াসহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসন প্রত্যাশীদের প্রথমে আলবেনিয়ায় নেওয়া হয়। এরপর দুর্গম পথ হাঁটিয়ে নেওয়া হচ্ছে ভূমধ্যসাগরের তীরে। তারপর নতুন গন্তব্য ইতালি।

বার্তা সংস্থা এপির অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ভয়ঙ্কর এই পথ পাড়ি দিতে গিয়ে প্রতিনিয়ত প্রাণ হারাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ।

যদিও মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা অঞ্চলের যুদ্ধপীড়িত দেশগুলো থেকে ইউরোপে যাওয়ার জন্য এতদিন লিবিয়া কিংবা তিউনিসিয়া উপকূল হয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার খবর প্রকাশ হয়েছে। তবে এবার জানা গেল মানবপাচারে নতুন রুটের খবর।

এপির ওই অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রথমে বিমানে কিংবা স্থলসীমান্ত দিয়ে অভিবাসন প্রত্যাশীদের আলবেনিয়ায় নিয়ে যায় পাচারকারীরা। এরপর গভীর জঙ্গল পাড়ি দিয়ে দীর্ঘ পথ হাঁটিয়ে নেওয়া হয় ভূমধ্যসাগরের তীরে। তারপর নৌকা দিয়ে নেওয়া হয় স্বপ্নের দেশ ইতালিতে।

সিরিয়া থেকে ফিলিস্তিন হয়ে আলেবেনিয়ায় এসেছেন এক ব্যক্তি। এপিকে তিনি জানান, এরপর কসোভো এবং বসনিয়া হয়ে ইতালিতে যাবেন। কারণ ইতালিতে তিনি কাজ করতে চান। তিনি বলেন, ‘আমার স্ত্রী এবং আত্মীয়স্বজন সিরিয়ায় রয়েছে। কিন্তু আমি এবং আমার পরিবার ইতালিতে বসবাস করতে চাই।’

ইতালি ছাড়াও আলবেনিয়া থেকে কসোভো, সার্বিয়া এবং হাঙ্গেরি হয়ে মানব পাচার হচ্ছে অস্ট্রিয়া ও জার্মানিতে। দীর্ঘ এই পথ পাড়ি দিতে গিয়ে কখনও খাবার সঙ্কটে, কখনও বা ক্ষুধার যন্ত্রণা কিংবা বিষাক্ত সাপের কামড়ে প্রাণ হারাচ্ছেন অনেকে।

এদিকে সুদান জার্মানিতে যাবেন এমন বেশ কয়েকজনকে খুঁজে পেয়েছে বার্তা সংস্থা এপি। কিন্তু আলেবেনিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী তাদের যেতে দিচ্ছেন না। তারা বলছেন, এই পথ পাড়ি দেওয়া খুবই কঠিন। গত ৫০ দিন ধরে এখানে অপেক্ষা করছেন। ছয়বার সীমান্ত পাড়ি দিতে চেষ্টা করেছেন; কিন্তু বারবার ব্যর্থ হয়েছেন।

অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নজরদারি কম থাকায় ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে রাতের আঁধারে পাড়ি দেওয়া হয় দীর্ঘ এই পথ। এতে গন্তব্যে যেতে কখনো কখনো কয়েক মাস লেগে যায়।

সম্প্রতি এ অঞ্চলটিতে নিরাপত্তা বাহিনীর কড়া নজরদারির কারণে গভীর জঙ্গলে বসবাস করতে হচ্ছে কয়েক শ’ অভিবাসীকে। খাবার শেষ হয়ে যাওয়ায় চরম মানবেতর দিন পার করছেন তারা। স্থানীয়দের সহায়তায় কোনোমতে বেঁচে আছেন তারা।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন