অনলাইন ডেস্ক:
মেঘনা নদীর তীব্র স্রোতের আঘাতে ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাটের প্রায় ৭০মিটার এলাকার ব্লক বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে ভোলা শহররক্ষা বাঁধ, ইলিশা লঞ্চ ও ফেরিঘাটসহ তিনটি ইউনিয়নের বাসিন্দারা। এদিকে ধসের শুরুতেই পানি উন্নয়ন বোর্ড বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলে ধস রোধে চেস্টা চালাচ্ছে।
মূল বাঁধের ধস ঠেকাতে বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) প্রথম দিনেই বালুভর্তি ১২হাজার জিওব্যাগ ডাম্পিং করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান জানান, ধস ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত ঝুঁকি থাকবে ততক্ষণ জিওব্যাগ ডাম্পিং করা করা হবে। পরবর্তী শুষ্ক মৌসুমে স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল হঠাৎ করেই ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাটের দক্ষিণ পাশে দুটি স্থানে ৪৫মিটার ও ২৫মিটার সিসি ব্লকে ধস দেখা দেয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, উজান থেকে নেমে আসা পানির তীব্র স্রোতের কারণে এই ধস।
বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত চার লেয়ার সিসি ব্লক ও পাঁচ লেয়ার বালু ভর্তি জিওব্যাগ ধসে যাওয়ায় হুমকির মুখে পড়ে ভোলা শহররক্ষা বাঁধের ইলিশা অংশ।
ব্লক ধসের স্থান থেকে বেড়িবাঁধের দূরত্ব মাত্র ১৫ ফিট হওয়ায় ভাঙন আতঙ্কে রয়েছেন ইলিশাসহ উত্তর ভোলার তিনটি ইউনিয়নের বাসিন্দারা। বড় ধরনের ক্ষয়-ক্ষতি এড়াতে ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তাদের।
ইলিশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন ছোটন জানান, ধস দেখা দেওয়া ব্লক বাঁধ থেকে বেড়িবাঁধের দূরত্ব ১০ থেকে ১৫ ফুট। তাৎক্ষণিক এই ধস ঠেকাতে না পারলে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
উল্লেখ্য, মেঘনার ভাঙন থেকে রক্ষায় ২০২১ সালে ৩৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভোলার ইলিশা ও রাজাপুরে ৪ কিলোমিটার এলাকায় ব্লক বাঁধ স্থাপন করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। কাজ শেষ হওয়ার দুই বছরের মধ্যে ইলিশা ঘাট এলাকায় ৭০মিটার ব্লক বাঁধে ধস দেখা দেয়।