রাজনীতি ডেস্ক :
ভোলায় গত ৩১ জুলাই পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলম বুধবার (৩ আগস্ট) ঢাকার কমফোর্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ এবং এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এই হত্যাকাণ্ড সুপরিকল্পিত এবং এ কারণে সরকারের পতন ত্বরান্বিত হবে।
বুধবার এক বিবৃতিতে ফখরুল বলেন, ভোট ডাকাতির মাধ্যমে বর্তমান আওয়ামী সরকার রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে এক ভয়ংকর দুঃশাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। মানুষের কথা বলা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করে এক নির্বাক রাষ্ট্রসমাজ গঠনের আয়োজন করেছে। জনগণের প্রতিবাদ-বিক্ষোভে দিশেহারা হয়ে মানুষ হত্যার মতো হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার পুরো দেশে এক ভয়ের সংস্কৃতি চালু করেছে। এর দায়-দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে সরকারকেই বহন করতে হবে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, সরকার দুঃশাসন চালু করে মূলত জনগণের প্রতি প্রতিশোধ নিচ্ছে। বিএনপির ওপর নির্বিচারে হামলা ও জীবন কেড়ে নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। ভোলায় বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলি করে হত্যা সরকারের এক অশুভ পরিকল্পনার অংশ।
ফখরুল বলেন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও সারসহ ভয়াবহ আর্থিক সংকটকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য মানুষের চোখ অন্যদিকে সরাতে গত ৩১ জুলাই আব্দুর রহিম এবং গুরুতর আহত নুরে আলমের আজ মৃত্যু–এই দুটি হত্যাকাণ্ডই সুপরিকল্পিত। বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক আন্দোলন স্তব্ধ করে দিতেই ভোলায় বিএনপির দুজন বলিষ্ঠ নেতাকে হত্যা করা হলো। জনস্বার্থে বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে এ ধরনের বর্বরোচিত হামলার মাধ্যমে দুটি তাজা প্রাণ কেড়ে নেয়ার ঘটনা বিশ্ববিবেককে নাড়া দিয়েছে।
বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব বলেন, বর্তমানে দেশের মানুষ এক জালিম সরকারের শাসনে বসবাস করছে। কিন্তু এ দেশের সাহসী জনতা অতীতেও যেমন সব স্বৈরাচারকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করেছে, বর্তমান স্বৈরাচারী সরকারকেও তীব্র গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করতে রাস্তায় নেমে এসেছে। পুলিশের এই হত্যাকাণ্ডে জনগণের শক্তি আরও সংহত হবে এবং সরকারের পতন ত্বরান্বিত হবে।
মির্জা ফখরুল ভোলা জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবার-পরিজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।