সংকল্প ডেস্ক :
ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের পাতানো নির্বাচনে পুলিশের বাঁধার মুখে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হওয়া কমপক্ষে ১০ (দশ) জন প্রার্থী নির্বাচন কমিশনে আপত্তি দাখিল করেছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টা থেকে ৪ টার মধ্যে নির্বাচন কমিশনের কাউকে না পেয়ে সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের কর্তব্যরত অফিস সহকারীর নিকট এই আপত্তি দাখিল করা হয়। নির্বাচন কমিশনের সদস্য আব্দুস সালাম দুপুরের দিকে এসোসিয়েশন ভবনে কয়েক মিনিটের জন্য আসলেও তিনি বঞ্চিত প্রার্থীদের অভিযোগপত্র গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান।
খুলনার বিভাগীয় শ্রম আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক গত ৯ মে ছিল ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের ত্রিবার্ষিক নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহের নির্ধারিত দিন। আ’লীগ সমর্থিত সিএন্ডএফ এজেন্টদের সমন্বয়ে ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের ০৯ (নয়) সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটি গঠনের লক্ষ্যে ঐদিন সিএন্ডএফ এজেন্ট ভবন পুলিশ দিয়ে কর্ডন করে রাখা হয়। এমনকি ০৩ (তিন) সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন ও লাপাত্তা হয়ে যায়। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে এসে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীকারী প্রার্থীরা পুলিশের বাঁধার মুখে পড়ে ফিরে যেতে বাধ্য হয়। কিন্তু সন্ধ্যায় অজ্ঞাত স্থান থেকে নির্বাচন কমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ০৯ (নয়) টি পদের বিপরীতে ১৮ (আঠারো) টি মনোনয়ন পত্র বিক্রয় হয়েছে বলে জানানো হয়। কতিপয় আ’লীগ নেতা দলীয়করনের কথা বললেও মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন দেখা যায় ০৯ (নয়) টি পদের বিপরীতে গুরত্বপূর্ণ পদে বিএনপিপন্থী ও হাইব্রীড নেতাদের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। অভিযোগ উঠেছে, মোটা অংকের অর্থ বাণিজ্যের মাধ্যমে ০৯ (নয়) সদস্য বিশিষ্ট সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের গুরত্বপূর্ণ পদ গুলি হাইব্রীডদের কাছে বিক্রয় করা হয়েছে।
অপরদিকে, পাতানো নির্বাচনে প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হওয়ায় অত্র সংগঠনের এডহক কমিটির আহŸায়ক মোঃ মিজানুর রহমান খুলনার বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। নির্বাচনে খুলনার বিভাগীয় শ্রম আদালতের নির্দেশনা লঙ্ঘন করায় আহ্বায়ক কমিটি ০৩ (তিন) সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশনকে ০৩ (তিন) দিনের মধ্যে কারন দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছে। মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হওয়া প্রার্থীরা অবিলম্বে নির্বাচনী তফসিল বাতিল করে পুনরায় তফসিল ঘোষনার দাবী জানিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাতানো নির্বাচন যায়েজ করতে সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের ০২ (দুই) হাইব্রীড নেতা খুলনার বিভাগীয় শ্রম দপ্তরে দেন-দরবারে ব্যস্ত রয়েছেন।
