নিউজ ডেস্ক:
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ভোটের নতুন একটি জরিপের ফল প্রকাশ করেছে বেসরকারি সংস্থা ইনোভিশন। জরিপের তথ্য অনুযায়ী, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ না নিলে ৪৫ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পাবে বিএনপি। যেখানে জামায়াতে ইসলামী পাবে ৩৩ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট। ৪ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট পাবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ৩ দশমিক ৮ এবং জাতীয় পার্টিকে ২ দশমিক ১ শতাংশ ভোটার ভোট দেবেন।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় আর্কাইভস অডিটোরিয়ামে ইনোভিশন কনসাল্টিং ফার্ম ‘জনগণের নির্বাচন ভাবনা’ শীর্ষক জরিপের ফল প্রকাশ করে।
ফলাফলে উঠে এসেছে, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিলে ১৮ দশমিক ৮০ শতাংশ ভোট পেতে পারে। এ ক্ষেত্রে বিএনপি ৩৯ দশমিক ১ শতাংশ, জামায়াত ২৮ দশমিক ১ শতাংশ, এনসিপি ৪ দশমিক ১০ শতাংশ ভোট পেতে পারে।
এছাড়াও জরিপ বলছে, আওয়ামী লীগের ২০ শতাংশ ভোটার বিএনপিকে, ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ জামায়াতকে এবং ২ দশমিক ১ শতাংশ ভোটার এনসিপিকে ভোট দিতে আগ্রহী।
৩৯ দশমিক ১ শতাংশ ভোটার মনে করেন বিএনপি সরকার গঠন করবে। অন্যদিকে জামায়াত সরকার গঠন করতে পারে বলে ২৩ দশমিক ৩ শতাংশ ভোটারের ধারণা। ১২ দশমিক ১ শতাংশ ভোটার মনে করেন আওয়ামী লীগ আবার সরকার গঠন করবে। আর নতুন দল এনসিপির সরকার গঠনের সম্ভাবনা আছে বলে মনে করেন ৩ দশমিক ৮ শতাংশ ভোটার।
বিভাগভিত্তিক জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, ছয়টি বিভাগে বিএনপি এগিয়ে আছে। অন্যদিকে রংপুর বিভাগে জামায়াত, বরিশাল বিভাগে আওয়ামী লীগ এবং চট্টগ্রাম বিভাগে এনসিপি এগিয়ে রয়েছে।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় পর্যায়ের রাজনীতিতে বিএপির প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে ৮ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ, যেখানে জামায়াতের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ। এছাড়া এনসিপির প্রতি সন্তুষ্ট ৯ দশমিক ১ শতাংশ মানুষ। আর পতিত আওয়ামী লীগের প্রতি সন্তুষ্টি জানিয়েছেন ৬ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ।
পাশাপাশি জরিপে অংশগ্রহণকারীরা রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি অসন্তুষ্টিও জানিয়েছেন। যেখানে বিএনপির কার্যক্রমে একদমই সন্তুষ্ট না ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ। জামায়াতের প্রতি ১৪ দশমিক ১ শতাংশ, এনসিপির প্রতি ২১ দশমিক ৫ শতাংশ এবং আওয়ামী লীগের প্রতি ২০ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ অসন্তুষ্ট।
এবারের নির্বাচনে ৬৫ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ প্রার্থীর যোগ্যতা দেখে ভোট দিতে আগ্রহী। যেখানে মাত্র ১৪ শতাংশ মানুষ ভোট দেবেন দলীয় প্রতীক দেখে।
জরিপটির মোট নমুনা আকার ছিল ১০ হাজার ৪১৩ উত্তরদাতা। এর মধ্যে ৬৯ দশমিক ৫ শতাংশ গ্রামের এবং ৩০ দশমিক ৫ শতাংশ শহুরে, তারা ভোট দেওয়ার যোগ্যর্।