জাতীয় ডেস্ক:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটারদের কেন্দ্রে যাওয়া সহজ করতে বিভিন্ন গণপরিবহন চলাচল করবে। এ দিন (৭ জানুয়ারি) রাজধানীতে মেট্রোরেলের স্বাভাবিক চলাচল থাকবে।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট লাইন (৬) এর উপ-প্রকল্প পরিচালক (গণসংযোগ) তরফদার মাহমুদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মেট্রোরেল বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। নির্বাচনের দিন ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।
এদিকে ভোটের দিন গণপরিবহন, প্রাইভেটকার, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচলের অনুমতি দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান।
যে সব যান চলাচল করবে না
তবে ভোটের দিন মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল চলবে না বলে জানিয়েছেন সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান।। এর আগে গত ৩১ ডিসেম্বর সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে মোট পাঁচ ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। ভোটগ্রহণের দিন (৭ জানুয়ারি) চার ধরনের যানবাহন বন্ধ থাকবে। ভোটের দিন বন্ধ থাকবে ট্যাক্সি ক্যাব, পিকআপ, মাইক্রোবাস ও ট্রাক। আর তিন দিন বন্ধ থাকবে মোটরসাইকেল চলাচল।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, আগামী ৬ জানুয়ারি মধ্যরাত থেকে ৭ জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত ট্যাক্সি ক্যাব, পিকআপ, মাইক্রোবাস ও ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকবে। আর মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকবে ৫ জানুয়ারি মধ্যরাত থেকে ৮ জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত।
যেসব যানবাহনের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা শিথিল থাকবে
১. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী, প্রশাসন ও অনুমতিপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষকদের যানবাহন চলাচল করতে পারবে।
২. জরুরি সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন এবং ওষুধ, স্বাস্থ্য-চিকিৎসা ও অনুরূপ কাজে ব্যবহৃত দ্রব্য ও সংবাদপত্রের গাড়ি যানবাহন চলাচল করবে।
৩. আত্মীয়স্বজনের জন্য বিমানবন্দরে যাওয়া, বিমানবন্দর হতে যাত্রী বা আত্মীয়স্বজনসহ নিজ বাসস্থানে অথবা আত্মীয়স্বজনের বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য ব্যবহৃত যানবাহন (টিকিট বা অনুরূপ প্রমাণ প্রদর্শন) এবং দূরপাল্লার যাত্রী বহনকারী অথবা দূরপাল্লার যাত্রী হিসেবে স্থানীয় পর্যায়ে যাতায়াতের জন্য যেকোনো যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা শিথিল থাকবে।
৪. প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর জন্য ১টি, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্টের (যথাযথ নিয়োগপত্র/পরিচয়পত্র থাকা সাপেক্ষে) জন্য ১টি গাড়ি (জিপ, কার, মাইক্রোবাস ইত্যাদি ছোট আকৃতির যানবাহন) রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমোদন ও গাড়িতে স্টিকার প্রদর্শন সাপেক্ষে চলাচলে অনুমতি পাবে।
৫. সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক অথবা জরুরি কোনো কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমোদন সাপেক্ষে চলাচল করতে পারবে।
৬. নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা বা কর্মচারী অথবা অন্য কোনো ব্যক্তির জন্য মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারবে।
৭. জাতীয় মহাসড়ক, বন্দর ছাড়াও আন্তঃজেলা বা মহানগর থেকে বের হওয়া বা প্রবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, মহাসড়ক ও প্রধান প্রধান রাস্তার সংযোগ সড়ক বা এ রকম সব রাস্তায় নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন। এছাড়া স্থানীয় প্রয়োজনীয়তা ও বাস্তবতার নিরিখে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটরা কিছু যানবাহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ অথবা শিথিল করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
সড়ক বিভাগের প্রজ্ঞাপনে নিষেধাজ্ঞাভুক্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ অথবা শিথিলের বিষয়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অথবা মহানগর পুলিশ কমিশনারকে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৬ জানুয়ারি রাত ১২টা থেকে ৭ জানুয়ারি দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত ট্যাক্সি ক্যাব, পিকআপ ও মাইক্রোবাস চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া ৫ জানুয়ারি দিবাগত রাত ১২টা থেকে ৮ জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলও বন্ধ থাকবে।
তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী, প্রশাসন ও অনুমতিপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক, জরুরি সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন এবং ওষুধ-স্বাস্থ্য-চিকিৎসা ও অনুরূপ কাজে ব্যবহৃত দ্রব্যাদি ও সংবাদপত্র বহনকারী যানবাহনের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা শিথিল থাকবে।