জাতীয় ডেস্ক :
মিছিল-মিটিং আর প্রতিশ্রুতির ফোয়ারায় ভাসছে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন। তাই তো ভোটের আমেজে মাতোয়ারা কুমিল্লা সিটি।
কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের প্রচারণার দশম দিনে এসেও প্রার্থীরা একে অপরের বিরুদ্ধে করছেন কড়া সমালোচনা। সময় হাতে আছে আট দিন। ফলে দিনরাত এক করে প্রচারণার মাঠে প্রার্থীরা। সব মিলিয়ে কুমিল্লা শহর যেন এক উৎসব নগরীর নাম।
রোববার (৫ জুন) নগরীর সদর দক্ষিণ এলাকায় জনসংযোগ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার। নৌকা ও টেবিল ঘড়ির প্রার্থীকে লুটেরা মন্তব্য করে তিনি দাবি করেন ১৫ জুনের নির্বাচনে জয়ী হবে ঘোড়া।
চৌয়ারা বাজার এলাকায় গণসংযোগ করেন সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে ভোট চান তিনি। নৌকার প্রার্থী হাসানুল হক রিফাত তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী মন্তব্য করে নির্বাচনী প্রচারণার মাঠে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে পেশিশক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এদিকে শহরের ফৌজদারি এলাকায় বৈঠক করেন নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত। এ সময় সাক্কুর অনিয়মের বিরুদ্ধে শ্বেতপত্র প্রকাশ করবেন জানিয়ে বলেন, সাক্কুকে দুর্নীতিবাজ প্রমাণ করতে না পারলে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন।
২৭টি ওয়ার্ডে সংরক্ষিত ও সাধারণ কাউন্সিলর পদের জন্য মোট ১৪৪ জন প্রার্থীও দিনরাত চষে বেড়াচ্ছেন প্রতিটি ওয়ার্ডের অলিগলি।
গত ২৫ এপ্রিল কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১৫ জুন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) কুসিক নির্বাচন হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশনের অধীন এটিই প্রথম নির্বাচন হতে যাচ্ছে।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন ২৭টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত কুমিল্লা সিটির প্রথম নির্বাচনে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে নাগরিক সমাজের ব্যানারে একবার এবং ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ বিএনপির মনোনয়নে দ্বিতীয়বার মেয়র নির্বাচিত হন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মো. মনিরুল হক সাক্কু।