অনলাইন ডেস্ক:
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ বছর নির্ধারণ করা উচিত। নির্বাচন সংস্কার কমিশন কী সুপারিশ করবেন তা আমার জানা নেই। কিন্তু দেশের বেশিরভাগ মানুষ যদি কমিশনের সুপারিশ করা বয়স পছন্দ করে, ঐকমত্যে পৌঁছার জন্য আমি তা মেনে নেবো।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিটিউট মিলনায়তনে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজের জাতীয় সংলাপে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টা। ‘ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন’ সামনে রেখে দুদিনব্যাপী এ সংলাপ হচ্ছে।
সংস্কার কমিশনগুলো অনেক সুপারিশ তুলে ধরবে উল্লেখ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমরা এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছি, যার যাই মতামত হোক না কেন আমরা দ্রুত একটা ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত করে সংস্কারের কাজগুলো করে ফেলতে চাই। নির্বাচনের পথে যেন এগিয়ে যেতে পারি সেই ব্যবস্থা করতে চাই।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ন্যায়ভিত্তিক সমাজ নির্মাণ ছাড়া জুলাইয়ের শহীদদের আত্মদান অর্থবহ হতে পারে না। ফ্যাসিবাদ বাংলাদেশকে আদর্শভিত্তিক সব ধরনের লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করে গভীর অন্ধকারের দিকে আমাদের নিয়ে গিয়েছিল। আমরা আবার প্রিয় বাংলাদেশকে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের পথে ফেরাবার লক্ষ্যে কাজ করছি।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান হত্যাকাণ্ডের বিচারের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের ছাত্রজনতা অটুট সাহসে শিশুহত্যাকারী ও পৈশাচিক ঘাতকদের মোকাবিলা করেছে। মানবতার বিরুদ্ধে এমন নিষ্ঠুরতাকে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
ঐক্যই মূল শক্তি মন্তব্য করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান আমাদের ঐতিহাসিক মাত্রায় বলিয়ান করেছে। গত পাঁচ মাসে এই ঐক্য আরও শক্তিশালী হয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের বিরুদ্ধ শক্তি আমাদের মধ্যে ভাঙ্গন সৃষ্টির ক্রমাগত প্রয়াস চালাতে থাকায় আমাদের ঐক্য আরও মজবুত হচ্ছে।