খেলাধুলা ডেস্ক :
বিসিবি নির্বাচনে ঢাকা বিভাগ থেকে পরিচালক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার কাউন্সিলর তানভীর আহমেদ টিটু। সবশেষ নির্বাচনে হেরে গেলেও এবার নতুন উদ্যম নিয়ে নেমেছেন ভোটযুদ্ধে। গেল এক দশক জেলা ক্রীড়া সংস্থায় কাজ করার অভিজ্ঞতা হয়েছে। এবার দেশের ক্রিকেট উন্নয়নে কাজ করতে চান সাবেক এই ক্রিকেটার।
পরাজয়ে ডরে না বীর। বিসিবির গেল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে গিয়েছিলেন টিটু। হারলেও ক্রীড়াঙ্গনের জন্য ভালোবাসা কমেনি একটুও। নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে গেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলার ক্রীড়াঙ্গনের জন্য। আরও একটা বিসিবি নির্বাচন দরজায়। সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন দিয়েছেন নতুন মুখের ডাক। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে আবারও বিসিবি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তানভীর আহমেদ।
এক দশক ধরে এই সংগঠক সরাসরি ক্রীড়াঙ্গনে জড়িত। দায়িত্ব পালন করছেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে। আছে একটি ক্রিকেট একাডেমি, যেখানে বিনামূল্যে দেয়া হয় প্রশিক্ষণ। ক্রিকেটের জন্য নির্মাণ করেছেন একটি স্টেডিয়ামও, প্রমাণ দিয়েছেন সাংগঠনিক দক্ষতারও। এবার নিতে চান বড় দায়িত্ব।
এই সংগঠক বলেন, ‘খেলোয়াড় হিসেবে যে চাহিদা ছিল, সেগুলো প্লেয়ারদের চাহিদা মনে করে দায়িত্ব নিতে চাই। সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা যেহেতু তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করি, এখন বিসিবিতে সুযোগ পেলে বেছে বেছে ভালো কিছু করতে পারব। ক্রিকেট বোর্ডে গেলে রুট লেভেল থেকে খেলোয়াড় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব। অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ক্রিকেটকে এগিয়ে নেব।’
একসময়ে জাতীয় ক্রীড়াঙ্গনে দাপট ছিল নারায়ণগঞ্জের ক্রীড়াবিদদের। সেই সুদিন এখন আর নেই। তবে ধীরে ধীরে তা ফেরাতে চান এই সংগঠক। জেলার ক্রীড়াঙ্গনের অবকাঠামোতে পরিবর্তন এনেছেন। করোনার মধ্যেও সচল ছিল নারায়ণগঞ্জের ক্রীড়াঙ্গন। এসবই খেলার জন্য নিবেদিত এই সংগঠককে স্বপ্ন দেখাচ্ছে বিসিবি নির্বাচনে জয়ী হতে। টিটু বলেন, ‘গতবার আমার চেয়ে যাদের ভালো মনে হয়েছে তাদের নির্বাচিত করা হয়েছে। এবার আমি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। আমি চাই নারায়ণগঞ্জের ছেলেরা জাতীয় দলের খেলুক।’
উল্লেখ্য, বিসিবি নির্বাচনে ক্যাটাগরি ১-এ দুই পরিচালক পদে তানভীর টিটুসহ নির্বাচন করবেন মোট চারজন।
