হোম জাতীয় ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ১৫ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে

জাতীয় ডেস্ক:

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ১৮ জনের মধ্যে ১৫ জনের পরিচয় পেয়েছে পিবিআই। তাদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সোমবার (২৩ অক্টোবর) রাত ১২টা পর্যন্ত ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়।

পরিচয় পাওয়া ১৫ জনের মধ্যে চারজনই এক পরিবারের। এরা হলেন, ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার সুজন মিয়া (৩৫), তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৩০), দুই ছেলে সজীব মিয়া (১৪) ও ইসমাইল মিয়া (১০)।

অন্য ১১ জন হলেন, কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার দড়িগাঁও গ্রামের আছির উদ্দিন (৩০), মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া গ্রামের রাসেল মিয়া (২১), চানপুর গ্রামের সাইমন মিয়া (২৬), ভৈরব পৌর শহরের টিনপট্টি এলাকার বাসিন্দা সুবোধ শীল (৪৫), ভৈরব যুব উন্নয়ন কার্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ জালাল আহমেদ, ঢাকা কলেজের ছাত্র ভৈরবের রাধানগর গ্রামের আফজাল হোসেন (২৩), রানীরবাজারের সবুজ চন্দ্র শীল (৫০), শ্রীনগরের রাব্বি মিয়া, ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মেরেঙ্গা গ্রামের হোসনা আক্তার, কুলিয়ারচর উপজেলার লক্ষ্মীপুরের ইমরুল কবীর (২২) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার বরইছড়া এলাকার নিজাম উদ্দিন সরকার।

এর আগে, সোমবার বিকেলে ভৈরব রেলস্টেশনের আউটার পয়েন্টে আন্তঃনগর এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস ট্রেন ও একটি মালবাহী ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ১৮ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মালবাহী ট্রেনটি ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দিকে, আর যাত্রীবাহী ট্রেনটি ভৈরব থেকে ঢাকায় যাচ্ছিল। ভৈরব রেলস্টেশনের আউটার পয়েন্ট ক্রসিংয়ের সময় মালবাহী ট্রেনটি যাত্রীবাহী ট্রেনের শেষ কয়েকটি বগিতে ধাক্কা দেয়। এতে বগিগুলো উল্টে যায়।

দেখতে পেয়ে উদ্ধারকাজে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার সিরাজ-উদ-দৌলা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস গোধূলি ট্রেনটি ভৈরব রেলস্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার পরপরই আউটারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন