হোম জাতীয় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা খুঁজে বের করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা খুঁজে বের করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 17 ভিউজ

অনলাইন ডেস্ক:
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেছেন, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা খুঁজে বের করতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেসব ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা পাওয়া যাবে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

ফারুক ই আজম বলেন, ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) পুনর্গঠন করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায়ও পরিবর্তন আনা হচ্ছে। সে অনুযায়ী জেলায় জেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই করা হবে। সেখান থেকে চিহ্নিত করা হবে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা। পরবর্তী সময়ে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

এ সপ্তাহে বা শিগগিরই জুলাই অধিদফতর আত্মপ্রকাশ করবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের জুলাই শহীদ এবং আহতদের জুলাই যোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে নাম ঘোষণা করা হবে এবং সে অনুযায়ী সনদ, পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। স্বীকৃতিপ্রাপ্ত জুলাই যোদ্ধারা ক্যাটাগরি অনুযায়ী এককালীন ও মাসিক ভাতা পাবেন।

উপদেষ্টা বলেন, ‘তিনটি ক্যাটাগরি করা হচ্ছে। এ ক্যাটাগরির যোদ্ধারা এককালীন ৫ লাখ টাকা ও মাসিক ২০ হাজার টাকা ভাতা পাবেন। বি ক্যাটাগরির যোদ্ধারা এককালীন ৩ লাখ টাকা ও মাসিক ১৫ হাজার টাকা ভাতা পাবেন। পুনর্বাসন ও সরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার পাবেন সি ক্যাটাগরির যোদ্ধারা।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এর পরে যে সরকার আসবে, তারাও জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা নিয়ে আাবেন। ফলে আমরা আশা করছি, জুলাই শহীদ, জুলাই যোদ্ধাদের বিষয়গুলো পরবর্তী সরকারও অগ্রাধিকারে রাখবে।’

ফারুক ই আজম দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়েরও উপদেষ্টা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ কার্যক্রমের মালামাল এখন থেকে স্থানীয় পর্যায়ে সংগ্রহ করা হবে। দ্রুত সুবিধাভোগীর কাছে পৌছানো, বিকেন্দ্রীকরণ ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। ডিসিদের তত্ত্বাবধানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসব মালামাল কিনবেন। প্রতি উপজেলায় এ খাতে ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা প্রয়োজনের পরিপ্রেক্ষিতে মালামাল কিনবেন। বর্তমানে ত্রাণ সামগ্রী কেন্দ্রীয়ভাবে কেনা হয়। এতে একই জায়গা থেকে বারবার কেনা হচ্ছে।’

ফারুক ই আজম বলেন, ‘স্থানীয় পুনর্বাসন, টিআর, কাবিখা কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের জন্য ডিসিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য অবকাঠামো প্রকল্প যাতে সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা হয় সে জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাদের।’

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন