জাতীয় ডেস্ক :
অসুস্থ মায়ের চিকিৎসার জন্য চাকরিতে গিয়েছিলেন আল আমিন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস চট্টগ্রামে সীতাকুণ্ডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন আল আমিন। আর ছেলের খবর পাওয়ার পর বিছানায় গড়াগড়ি খাচ্ছেন অসহায় মা।
রোববার (০৫ জুন) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও দেখে তাকে শনাক্ত করেন মা-বাবা। কিন্তু টাকার অভাবে এখনও আল আমিনকে দেখতে যেতে পারেননি পরিবারের কেউ। তবে আল আমিনের চিকিৎসার ব্যাপারে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার পুটিজুরী ইউনিয়নের বাগেরখাল গ্রামের সেফু মিয়ার ছেলে আল আমিন। কাজ করতেন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বেসরকারি বিএম কনটেইনার ডিপোতে।
দগ্ধ আল আমিনের পরিবারের লোকজন জানান, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগার পর মোবাইল ফোনে কল করে চাচার সঙ্গে কথা বলেন আল আমিন (২২)। এরপর হঠাৎ তার ফোন বন্ধ হয়ে যায়। তখন থেকে নিখোঁজ ছিলেন আল আমিন।
ফেসবুকে ভিডিওতে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় দেখে তাকে চিনতে পারেন মা-বাবা। কিন্তু টাকা-পয়সা না থাকায় ছেলেকে দেখতে সীতাকুণ্ডে যেতে পারছেন না।
আল আমিনের মা সুজেনা বেগম বলেন, আমার ছেলেকে আমি দেখতে চাই। ছেলে আমার চিকিৎসার জন্য টাকা রোজগার করতে চট্টগ্রামে চাকরিতে গিয়েছিল। কিন্তু আমার ছেলে নিজেই আগুনে ঝলসে গেল। রোববার রাতে আমাদের এলাকার এক ছেলে ফেসবুক ভিডিওতে দগ্ধ অবস্থায় তাকে দেখতে পাই। ভিডিওটি দেখে আমার বুকের ধনকে আমি চিনতে পারি। কিন্তু ছেলেকে দেখতে যাওয়ার মতো টাকা হাতে নেই। তাকে দেখতে কীভাবে সেখানে যাব।
হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান জানান, খবর পাওয়ার পর পুটিজুরী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুদ্দত আলীকে দায়িত্ব দিয়েছি তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে সার্বিক অবস্থা জানতে।
এ ছাড়া ছেলেটি যেখানে ভর্তি আছে সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্তদের সঙ্গেও আমরা যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। আল আমিন ও তার পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।