মিলন হোসেন বেনাপোল :
বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াতের ক্ষেত্রে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের কিছু শর্তাবলী দিয়েছে বেনাপোল ইমিগ্রেশন। নির্দেশনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল ইমিগ্রেশনের (ওসি) মহাসিন খান।
ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রী যারা বর্তমান করোনা পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে ব্যবসা, চিকিৎসা বা ভ্রমণে ভারতে যেতে চায় তাদের প্রথমত প্রবেশের ক্ষেত্রে ভারতীয় হাই কমিশনারের অনুমতি পত্র থাকতে হবে। সেই সাথে লাগবে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট। এছাড়া প্রয়োজন হবে ২০২০ সালের পহেলা জুলাইয়ের পর ইস্যুকৃত ভিসা।
ভারতীয় পাসপোর্টধারী যাত্রীদের বাংলাদেশ আগমনের ক্ষেত্রে লাগবে হালনাগাদ ভিসা ও পাসপোর্ট। এছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পত্র এবং ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট প্রয়োজন।
এছাড়া ভারতীয় যাত্রী যারা বাংলাদেশে আটকে আছেন তাদের স্বদেশ ফিরতে প্রয়োজন হবে মেয়াদযুক্ত পাসপোর্ট ও ভিসা নবায়ন (জরিমানা ব্যতীত ভিসা ও ফি প্রদান পূর্বক)। ভারতীয় হাইকমিশনারের অনুমতি পত্র এবং ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাংলাদেশ ও প্রতিবেশী দেশ ভারতে ছড়িয়ে পড়লে তা প্রতিরোধে দুই দেশের সরকার বিভিন্ন নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এর মধ্যে ভারত সরকারের নেওয়া পদক্ষেপে গত ১৩ মার্চ থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রীদের প্রবেশ বন্ধ হয়ে যায়।
পরবর্তীতে আবার তাদের নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশে অবস্থানরত ভারতীয় নাগরিকদের দেশে ফেরার পথ বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া ২২ মার্চ থেকে বেনাপোল বন্দরের রেল ও স্থলপথে ভারত সরকার আমদানি রফতানি বাণিজ্য বন্ধ করে দেয়। বর্তমানে এ পথে রেল ও স্থলপথে আমদানি রফতানি বাণিজ্য সচল হলেও দুই দেশের মধ্যে যাত্রী যাতায়াত এখনও বন্ধ রয়েছে।
তবে যে সকল বাংলাদেশি যাত্রীরা করোনার আগে বিভিন্ন প্রয়োজনে ভারতে অবস্থান করছিলেন তারা দেশে ফিরতে পারছেন। এদিকে বাংলাদেশিরা নিজ দেশে ফেরার সুযোগ পেলেও ও নিজ দেশের নাগরিকদেরকে ভারত ফেরত নিচ্ছেনা। কয়েক হাজার ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে আটকা পড়ে আছে। বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ওসি মহাসিন খান জানান, বাংলাদেশিদের ভারত ভ্রমণ, ভারতীয়দের বাংলাদেশ ভ্রমণ বা বাংলাদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকলে তারা যাতায়াত করতে পারবেন।