অনলাইন ডেস্ক:
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চান বলে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার।
সোমবার (০২ ডিসেম্বর) আনন্দবাজারের ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফোনকলে পত্রিকাটিকে জানান, ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। আমরা এ উত্তেজনা প্রশমিত করতে চাইছি। অনলাইনে কৃত্রিমভাবে এ উত্তেজনা ছড়ানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমি ভারতীয় সাংবাদিকদের বাংলাদেশে এসে পরিস্থিতি দেখার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে। আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। চট্টগ্রামেও পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
প্রেস সচিব বলেন, ইসকনের ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তাদের নিষিদ্ধ করার বিষয়ে কোনো প্রশ্ন কখনও ওঠেনি। ভারতের কাছে ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। কোনো ধর্মীয় সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা আমাদের লক্ষ্য নয়।
বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আনন্দবাজারের সঙ্গে কথা বলেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল মিন্টু। তিনি পত্রিকাটিকে বলেন, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিস্থিতির যেভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে বাংলাদেশে পুরোদস্তুর সাম্প্রদায়িক সহিংসতা চলছে। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে এর কোনো মিল নেই।
মিন্টু বলেন, আমি সম্প্রতি নোয়াখালী ঘুরে এসেছি। ঢাকাতেও আমার সর্বত্রই যাতায়াত রয়েছে। কোথাও হিন্দুদের সঙ্গে মুসলমানদের কোনো উত্তেজনা দেখা যায়নি। জাল ভিডিওতে অনেক কিছুই দেখানো যেতে পারে।
এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ পত্রিকাটিকে বলেন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে তো ইসকন থেকেই বহিষ্কার করেছে। সবাই তার সাক্ষী। যে ঘটনা ঘটেছে তা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার ঘটনা বলে আমরা মনে করি না।
আযাদ বলেন, সনাতন ধর্মের কাউকে আক্রমণ করা হয়নি। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশে বিভিন্ন জাতি ধর্ম সম্প্রদায়ের মানুষ থাকবে। সম্প্রীতি থাকবে।
উল্লেখ্য, সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে (৩৮) গ্রেফতার নিয়ে বেশ অস্থিরতা দেখা দেয়। বিষয়টি নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশ সম্পর্কে অঘোষিত শীতলতা চলছে। এমন পরিস্থিতির ভেতরে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আগ্রহের বিষয়টি ধরে প্রতিবেদন প্রকাশ করল ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার।