হোম জাতীয় ভারতীয় হাইকমিশনার: বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে

ভারতীয় হাইকমিশনার: বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 123 ভিউজ

জাতীয় ডেস্ক:

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর অফিস কক্ষে প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

প্রণয় ভার্মা বলেন, বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যকার ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। দুদেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগাযোগ আরও বাড়াতে হবে।

আগামী মাসে ভারতে অনুষ্ঠিতব্য মেগা শোতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে হাইকমিশনার বলেন, উভয় দেশের পণ্য বহুমুখীকরণের মাধ্যমে রফতানি বৃদ্ধি করতে ভারতে বেস্ট অব বাংলাদেশ প্রোডাক্ট এবং বাংলাদেশে বেস্ট অব ইন্ডিয়া প্রোডাক্ট শো আয়োজন করা যেতে পারে।

বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রস্তাবের সঙ্গে একমত পোষণ করে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। তিনি আরও বলেন, উভয় দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য বর্ডার হাটগুলোকে আরও সক্রিয় করতে হবে।

এ সময় মৌলভীবাজারে একটি বর্ডার হাট উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে জানালে ভারতীয় হাইকমিশনার যৌথভাবে উদ্বোধন করতে সম্মত হন। এ ছাড়া নতুন করে বর্ডার হাট চালুর লক্ষ্যে সম্ভাব্য স্থান চিহ্নিত করতে একসঙ্গে কাজ করার আশ্বাস দেন।

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের মধ্যকার আমদানি-রফতানি পরিসংখ্যান তুলে ধরে আহসানুল ইসলাম টিটু ভারত সরকারকে বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি পণ্য আমদানির আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ভারতের সেভেন সিস্টার্সের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করে বাংলাদেশি পণ্য আমদানি যেমন: হস্তশিল্প, ইলেকট্রনিকস, পাটজাত ও চামড়াজাত পণ্য এবং খাদ্যপণ্য প্রবেশের সুযোগ তৈরি করতে হবে।

এ ছাড়া সেভেন সিস্টার্সে বসবাসরত মানুষ যারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেন তাদেরকে ঢাকা বিমানবন্দর ব্যবহার করে ভ্রমণ করতে ভারত সরকারকে অনুরোধ জানান আহসানুল ইসলাম।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার ভারত সরকারের কাছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের (পেঁয়াজ, চিনি, আদা-রসুন) একটি তালিকা প্রদান করবে, যাতে জরুরি মুহূর্তে পণ্যগুলো আমদানি করা সম্ভব হয়।

এটি নিশ্চিত করার জন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের ওপর গুরুত্বাপরোপ করে টিটু বলেন, ভারত বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। ভারত যে কোনো সংকটে বাংলাদেশের পাশে ছিল এবং ভবিষ্যতে থাকবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন