নিজস্ব প্রতিনিধি :
রাতের আঁধারে সীমান্ত পেরিয়ে ভারত থেকে গলদা রেণু চোরাচালানকালে দুই সহযোগী, একটি প্রাইভেটকার ও ১২ পলিব্যাগ গলদার রেণুসহ দেবহাটার অন্যতম শীর্ষ চোরাকারবারী রবিউল ইসলাম রবিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকাবাসী। শুক্রবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে কালীগঞ্জের ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের গান্দুলিয়া এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করে পুলিশে দেয়া হয়। আটককৃত রবিউল ইসলাম রবি উপজেলার উত্তর পারুলিয়া চারাবটতলা গ্রামের মৃত আতিয়ার রহমান সরদারের ছেলে এবং প্রশাসনের তালিকাভুক্ত অন্যতম শীর্ষ চোরাকারবারী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নির্ভরযোগ্য সুত্র জানায়, চোরাকারবারী রবিউল ইসলাম রবি দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের নজর এড়িয়ে কালীগঞ্জের বাশঝাড়িয়া সহ জেলার বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে গলদার রেণু, গার্মেন্টস সামগ্রীসহ বিভিন্ন মালামাল অবৈধভাবে নদী পার করে ভারত থেকে এনে রমরমা চোরাচালান চালিয়ে আসছিলেন। বাশঝাড়িয়া সীমান্তের অপর চোরাকারবারী জনৈক মহাসিন প্রশাসনের নামে রবি’র কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে এসব চোরাচালানী মালামাল নদী পারাপার ও বর্ডার থেকে জেলা-উপজেলায় পৌছাতে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করেন।
শুক্রবার ভোররাতে বাশঝাড়িয়া সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় বিপুল গলদার রেণু দেশে আসার খবর পেয়ে গান্দুলিয়া এলাকায় ব্যারিকেড দেন এলাকাবাসী। একপর্যায়ে একটি নীল রঙের প্রাইভেটকার, ১২ পলিব্যাগ গলদা রেণু এবং দুই সহযোগী দক্ষিন পারুলিয়ার জামান মোড়লের ছেলে প্রাইভেটকার চালক মিল্টন এবং নাংলা গ্রামের রবিউল আওয়ালসহ শীর্ষ চোরাকারবারী রবিউল ইসলাম রবিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন এলাকাবাসী।
কালীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মাদ গোলাম মোস্তফা বলেন, গ্রেপ্তার পরবর্তী শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ভ্রাম্যমান আদালতে ওই তিন চোরাকারবারীকে এক লক্ষ টাকা অর্থদ্বন্ড অনাদায়ে এক মাসের কারাদ্বন্ড দেন নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার রবিউল ইসলাম। পরে গ্রেপ্তারকৃতরা অর্থদ্বন্ডের টাকা পরিশোধ করায় তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। অপরদিকে জব্দকৃত ১২ পলিব্যাগ গলদার রেণু নির্বাহী অফিসারের উপস্থিতিতে কাকশিয়ালী নদীতে অবমুক্ত করা হয় বলেও জানান ওসি।